সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপির গঠনতন্ত্র থেকে সপ্তম ধারা কেন তুলে দেওয়া হয়েছে তা এখন পরিষ্কার। তারেক রহমানের মতো দুর্নীতিবাজরা যেন নেতা হতে পারে, সেটাই ছিল লক্ষ্য। ফলে বিএনপিতে দুর্নীতিবাজদের নেতা হতে আর কোনও বাধা নেই। তারেক রহমানের মতো দুর্নীতিবাজরাই বিএনপির নেতা হতে পারে।’ শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় গাজীপুরের ভোগরা বাইপাসে বিআরটিএ প্রকল্প পরিদর্শন শেষে তিনি এসব বলেন।
ওবায়দুল কাদেরের ভাষ্য, ‘মানি লন্ডারিংয়ের দায়ে তারেক রহমানের সাত বছর কারাদণ্ড হয়েছে আগেই। এবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার ১০ বছরের সাজা হলো। এখন তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন।’
বিএনপি নেতাদের দাবি, খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়ার কারণে দেশে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদকের মন্তব্য, ‘খালেদা জিয়ার মামলার রায়ের ফলে রাজনৈতিক সংকট নয়, বরং বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংকট ঘনীভূত হবে। আমরা সেই লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি।’
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সরকার মামলা করেনি এবং এ বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপও করেনি। তিনি যদি নিয়মিত হাজিরা দিতেন তাহলে এই মামলার রায় অনেক আগেই হয়ে যেত। তিনি নিজেই দেরি করে নির্বাচনকে সামনে রেখে মামলাটি এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন। এজন্য খালেদা জিয়া ও তার আইনজীবীরা দায়ী।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন সড়ক বিভাগের ঢাকা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, বিআরটিএ’র প্রকল্প পরিচালক সানাউল হক ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা।