কোস্টগার্ডের দাবি সুন্দরবন থেকে শিকার করা হরিণের ৫০ কেজি মাংস ও দুইটি মাথা জব্দসহ একজনকে তারা আটক করেছে। কিন্তু বনবিভাগ বলছে ৪০ কেজি মাংস জব্দ করা হয়েছে। সোমবার (৫ মার্চ) খুলনার দাকোপ উপজেলার কালাবগি খাল সংলগ্ন মুচির দোয়ানি এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের (সিজি আউটপোস্ট) সদস্যরা।
আটক মো. শামীম মিস্ত্রী (৩৩) পাইকগাছা উপজেলার পাটকলপটা গ্রামের বোদর উদ্দিন মিস্ত্রীর ছেলে।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের জোনাল কমান্ডার লেফটেন্যান্ট এম সেলিম বিশ্বাস জানান, গোপন খবরের ভিত্তিতে দাকোপ উপজেলার কালাবগি খাল সংলগ্ন মুচির দোয়ানি এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৫০ কেজি হরিণের মাংস ও দুইটি মাথা জব্দ এবং ইঞ্জিনচালিত একটি দেশীয় নৌকা আটক করা হয়। অভিযানে বনকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
তিনি জানান, উদ্ধার মালামাল, জব্দ হরিণের মাংস ও মাথা নলিয়ান ফরেস্ট অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নলিয়ান ফরেস্ট স্টেশনের কর্মকর্তা সোয়াইব খান বলেন, ‘শামীম এই প্রথম গ্রেফতার হলো। বন আইনে মামলা দায়েরের পর তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর হরিণের ৪০ কেজি মাংস আদালতের নির্দেশে কেরোসিন দিয়ে আদালত চত্বরেই মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে।’
তাহলে বাকি ১০ কেজি মাংস কোথায় গেলো—এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কোস্টগার্ডের স্টাফ অফিসার লে. কর্নেল মাহাদি বলেন, ‘আমরা তো অনুমান হিসাব করি। পরে তারা (বনবিভাগ) যদি মাইপা-টাইপা ওই ৪০ কেজি পায়। তাহলে আমাদের আর কিছু বলার নাই। আমরা সৌহার্দ্যপূর্ণ অবস্থানে থাকতে চাচ্ছি। তাই হিসাব-কিতাবে যেতে চাচ্ছি না।’