গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নির্মাণ শ্রমিকসহ ১১ জন নিহত ও অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (১০ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে পলাশবাড়ীর ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের সরকার ফিলিং স্টেশন ও দুপুর ১২টার দিকে জুনদহ এলাকায় এ দু’টি দুর্ঘটনা ঘটে। গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রংপুর থেকে গোবিন্দগঞ্জগামী এস এন ট্রাভেলসের একটি রির্জাভ বাস পলাশবাড়ীর সরকার ফিলিং স্টেশন এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ সামনের চাকা পাংচার হয়ে যায়। এসময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলিকে (ভটভটি) ধাক্কা দেয় বাসটি। ট্রলিতে থাকা তিন নির্মাণ শ্রমিক ঘটনাস্থলেই মারা যান। ঘটনাস্থল থেকে আহত ১০ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া পর মারা যান আরও একজন।
পৃথক ঘটনায় দুপুরের দিকে রংপুরগামী রড বোঝাই একটি ট্রাক গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার জুনদহ এলাকায় পৌঁছানোর পর সড়কে থাকা মোটরসাইকেল আরোহীকে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এসময় ট্রাকটি রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি যাত্রীবাহী অটোবাইককে ধাক্কা দিয়ে উল্টে খাদে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই ট্রাক ও অটোবাইকে থাকা পাঁচ যাত্রী নিহত ও ১০ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দুই জন নিহত হয়।
এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ থানার হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার জানান, নিহতরা অধিকাংশই শ্রমিক ছিলেন। তাদের বাড়ি গাইবান্ধা, রংপুর ও নিলফামারী জেলায়। তাদের মধ্যে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তিন নির্মাণ শ্রমিকের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, নাকাই গ্রামের জাকির হোসেন (২৫), শিবপুর গ্রামের খশরু মিয়া (৫০) ও একই গ্রামের রাজু মিয়া (২৪)। গুরুতর আহতদের মধ্যে স্বাধীন, জয়নুল, আতিয়ার, রশিদ, সাহিদা ও শফিকে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে আহত অন্যদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। তাদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহামুদুল আলম জানান, নিহত ও আহতদের পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িগুলো পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।