কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর দুই বছর পার হলো আজ (২০ মার্চ)। এতোদিনেও হত্যাকারীদের ধরতে বা চিহ্নিত করেত পারেনি পুলিশ, ডিবি ও সিআইডির তদন্ত দল। ইতিহাস বিভাগের উদ্যোগে মঙ্গলবার সকালে ভিক্টোরিয়া কলেজ ক্যাম্পাসে তনুর হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন, শোক র্যালি ও দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন থিয়েটারের প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মশিউর রহমান ভুইয়া, মার্কেটিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান কাজী মজিবুর রহমান, শিক্ষক পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক নিলুফার সুলতানা, থিয়েটারের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনে অংশ নেন ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এসময় বক্তারা জানান, তনুর খুনিদের শনাক্ত করে বিচার করতে হবে। তনুর হত্যাকারীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
উল্লেখ্য ২০১৬ সালের ২০ মার্চ সন্ধ্যায় কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরে একটি বাসায় টিউশনি করতে গিয়ে আর বাসায় ফিরেনি তনু। পরে তার স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করে রাতে বাসার অদূরে সেনানিবাসের ভেতর একটি জঙ্গলে তনুর মরদেহ পায়। পরদিন তার বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ ও ডিবি’র পর ২০১৬ সালের পয়লা এপ্রিল থেকে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি কুমিল্লা। তনুর দুই দফা ময়নাতদন্তে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগ মৃত্যুর সুস্পষ্ট কারণ উল্লেখ করেনি। শেষ ভরসা ছিল ডিএনএ রিপোর্ট। গত বছরের মে মাসে সিআইডি তনুর জামা-কাপড় থেকে নেওয়া নমুনার ডিএনএ পরীক্ষা করে তিনজন পুরুষের শুক্রানু পাওয়ার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল। পরে সন্দেহভাজনদের ডিএনএ ম্যাচিং করার কথা থাকলেও তা করা হয়েছে কিনা- এ নিয়েও সিআইডি বিস্তারিত কিছু বলছে না। সর্বশেষ সন্দেহভাজন হিসেবে তিন জনকে ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোর থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত সিআইডির একটি দল ঢাকা সেনানিবাসে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদ করা ব্যক্তিরা তনুর মায়ের সন্দেহ করা আসামি বলেও সিআইডি জানায়। তবে তাদের নাম জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন: পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ