গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বিতরণ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বিতরণ শুরু করেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল জানান, মেয়র পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছেন নৌকা, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান উদ্দিন সরকার পেয়েছেন ধানের শীষ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি মনোনীত প্রার্থী কাজী মো. রুহুল আমীন পেয়েছেন কাস্তে, ইসলামী ঐক্যজোট মনোনীত প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ফজলুর রহমান পেয়েছেন মিনার, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী মো. জালাল উদ্দিন পেয়েছেন মোমবাতি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মো. নাসির উদ্দিন পেয়েছেন হাতপাখা ও একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ আহমেদ পেয়েছেন টেবিল ঘড়ি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রতীক বিতরণের আগে কোনও কোনও প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে প্রচারনা শুরু করেন, যা নির্বাচনী আইনের লঙ্ঘন। যাদের বিরুদ্ধে এ নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনের প্রমাণ পেয়েছি তাদেরকে বিধি অনুযায়ী সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। প্রচারণার ক্ষেত্রেও বিধিমালা রয়েছে। এর ব্যাত্যয় ঘটলে নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রচারনার সময় জনদুর্ভোগ সৃষ্টি ও শিক্ষার্থীদের যেন কোনও সমস্যা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে তিনি প্রার্থীদের অনুরোধ করেন।
তিনি বলেন, ‘সকল প্রার্থীর জন্য লেভেল প্লেইং ফিল্ড বা সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে নির্বাচন কমিশন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে মাইক ব্যবহার করতে পারবেন। এক ওয়ার্ডের মাইক অন্য ওয়ার্ডে প্রবেশ করতে পারবে না।
নির্বাচনী প্রতীক হাতে পেয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন,‘নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর জনগণের কাছে এখন আমার প্রতীকটি উপস্থাপন করব। প্রতীক নিয়ে ভোটারের কাছে যাব। নৌকা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির প্রতীক, নগরবাসীর মুক্তির প্রতীক। আধুনিক এবং পরিকল্পিত নগর গঠনে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন কাজে শরীক হতে ভোটারদের আহ্বান জানাবো। নৌকা প্রতীক বিজয়ী হলে গাজীপুর মহানগর হবে দেশের একটি অন্যতম আধুনিক মহানগর ইনশাল্লাহ।
বিএনপি মনোনীত দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান উদ্দিন সরকার তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘ধানের শীষ প্রতীকটি গাজীপুরবাসীর পরিচিত একটি প্রতীক। এ প্রতীক উন্নয়নের প্রতীক। এ প্রতীকে ভোটদানে গাজীপুরবাসী ভুল করবে না।
তিনি বলেন, তালিকাভুক্ত চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাস দমনসহ সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীকে সর্বদা কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। সকল প্রার্থীদের জন্য নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বাস্তবায়নে সর্বদা তৎপর থাকতে হবে। ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে নিরপেক্ষ পরিবেশ সৃষ্টি এবং কালো টাকার ছড়াছড়ি হলে তা বন্ধ করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মনোনীত মো. জালাল উদ্দিন তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, গাজীপুর মহানগর একটি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। বিধি অনুযায়ী প্রচারণা চালিয়ে যাবো। জয়ী হলে প্রথমেই ময়লা আবর্জনামুক্ত একটি পরিচ্ছন্ন মহানগর প্রতিষ্ঠা করব।
২৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হাসান আজমল ভূঁইয়া বলেন, চলমান উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে কাঙ্ক্ষিত ওয়ার্ড গঠনে ভূমিকা রাখবো।
২৫,২৬ ২৭ নং ওয়ার্ড থেকে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অ্যাডভোকেট শাহনাজ আক্তার বলেন, ‘নির্বাচিত হলে নারী ও শিশুদের জন্য সরকারের দেওয়া বরাদ্দ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখবো।