খাগড়াছড়িতে একটি কর্মসূচি পালনের জন্য জড়ো হতে থাকা ইউপিডিএফ সদস্যদের লক্ষ্য করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে সাত জন নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন অন্তত তিন জন। প্রত্যক্ষদর্শী ও ইউপিডিএফের সদস্যরা এই হামলার জন্য জেএসএস ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিককে দায়ী করছেন। তবে জেএসএস অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে খাগড়াছড়ি শহরের স্বনির্ভর বাজার এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। পাহাড়ি সংগঠন ইউনাটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) লোকজন একটি কর্মসূচি উপলক্ষে জড়ো হচ্ছিলেন। এ সময় অতর্কিতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। দুই পক্ষের মধ্যে এলোপাতাড়ি গোলাগুলি হয়। এ সময় ইউপিডিএফ সদস্য ও সাধারণ লোকজন হতাহত হন। ঘটনার পর খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে ছয় জনের লাশ আনা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিন জনকে একই হাসপাতালে আনা হয়। পরে শন কুমার চাকমা নামে আহত আরও একজনকে হাসপতালে আনা হলে তিনি মারা যান।
নিহতদের মধ্যে চার জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- তপন চাকমা, এল্টন চাকমা, জিতায়ন চাকমা ও শন কুমার চাকমা। এর মধ্যে তপন চাকমা ইউপিডিএফ সহযোগী সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং এল্টন চাকমা একই সংগঠনের সহ সম্পাদক। জিতায়ন চাকমা সাধারণ পথচারী।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে সোহেল চাকমা, সমর বিকাশ চাকমা ও সখিডন চাকমাকে।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আলী আহমদ খান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন ইউপিডিএফের প্রতিপক্ষ জেএসএস ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের সন্ত্রাসীরা এই হামলা চালিয়েছে। তবে তদন্তের পর এ বিষয়ে নিশ্চিত করে বলা যাবে। আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে এই হামলা হয়ে থাকতে পারে।’
ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুরো শহরেই পরিস্থিতি থমথমে হয়ে আছে।