X
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪
২২ বৈশাখ ১৪৩১

ইজতেমা মাঠ ছাড়ছেন সাদবিরোধীরা, ঢুকছেন অনুসারীরা

গাজীপুর প্রতিনিধি
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:৩৮আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:১৮





ইজতেমা মাঠ ছাড়ছেন সাদবিরোধীরা টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষে সাদবিরোধী ও মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা মাঠ ছেড়ে যাচ্ছেন। শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে মোনাজাত শেষে তারা ইজতেমা মাঠ ছাড়তে শুরু করেন। এদিকে,আগামীকাল (রবিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি) বাদ ফজর থেকে মাওলানা সাদ অনুসারীদের পরিচালনায় ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হচ্ছে। ইতোমধ্যে ইজতেমা মাঠে সাদের অনুসারীদের কেউ কেউ ঢুকতে শুরু করেছেন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের এসি (মিডিয়া) রুহুল আমিন সরকার বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, ‘ইজতেমার প্রথম অংশে যারা অংশ নিয়েছেন তারা স্বেচ্ছায় চলে যাচ্ছেন। এরপরও যারা এখনও যাননি তাদের অনুরোধ করে বলা হচ্ছে, আপনারা চলে যান অন্যদের আসার সুযোগ দেন। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় রয়েছে তাদের। এরমধ্যেই তারা চলে যাবেন বলে আশা করছি।’

অপর অংশ মাঠে প্রবেশ করেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অপর অংশকে সন্ধ্যার পর মাঠে আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে এখন কেউ কেউ ছড়িয়ে ছিটিয়ে ঢুকছেন।’
ইজতেমা মাঠ ছাড়ছেন সাদবিরোধীরা শনিবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে মোনাজাত শুরু করেন বাংলাদেশের কাকরাইল মসজিদের ইমাম হযরত মাওলানা মুহাম্মদ জোবায়ের। আরবি ও বাংলা ভাষায় মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। টানা ২৪ মিনিট আখেরি মোনাজাতে আত্মশুদ্ধি ও নিজ নিজ গুনাহ মাফের জন্য মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয়। এ সময় ‘আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনিতে তুরাগ তীরে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। মাওলানা জোবায়ের মোনাজাতের প্রথম ১৩ মিনিট কোরআন পাঠ করেন। শেষ অংশে দোয়া করা হয় বাংলা ভাষায়।
মোনাজাত উপলক্ষে টঙ্গী,গাজীপুর, উত্তরাসহ আশপাশের এলাকার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, মার্কেট, বিপণী বিতান ও অফিসসহ প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হয়। লাখ লাখ মানুষ মোনাজাতে অংশ নেন। সকাল ৯টার আগেই ইজতেমা মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। মাঠের পাশের বাসা-বাড়ি, কলকারখানা-অফিস-দোকানের ছাদে, যানবাহনের ছাদে ও তুরাগ নদীতে নৌকায় মুসল্লিরা অবস্থান নেন। যে দিকেই চোখ যায় শুধু টুপি-পাঞ্জাবি পরা মানুষ। ইজতেমাস্থলের চারপাশের ৩-৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। মোনাজাতে মুসলমানদের ঈমান মজবুত, পাপ মোচন ও মুসলিম উম্মার শান্তি কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া চাওয়া হয়। আখেরি মোনাজাতে পুরুষের পাশাপাশি বিভিন্ন বয়সী কয়েক হাজার নারী অংশ নেন।  
মোনাজাত প্রচারের জন্য গণযোগাযোগ অধিদফতর ও গাজীপুর জেলা তথ্য অফিস বিশেষ ব্যবস্থা নেয়। এর মধ্যে গণযোগাযোগ অধিদফতর ইজতেমা ময়দান থেকে আব্দুল্লাহপুর ও বিমানবন্দর রোড পর্যন্ত এবং গাজীপুর জেলা তথ্য অফিস ইজতেমা ময়দান থেকে চেরাগআলী, টঙ্গী রেলস্টেশন, স্টেশন রোড থেকে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার উড়াল সেতু ও আশপাশের অলি-গলিতে পর্যাপ্ত মাইক সংযোগ দেওয়া হয়।

ফিরে যাচ্ছেন সাদবিরোধী মুসল্লিরা মোনাজাত ঘিরে মাঠ ও এর আশপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান জানান, মোনাজাতের পর মুসল্লিদের বাড়ি ফেরা পর্যন্ত ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের এলাকায় পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া সাদা পোশাকে মুসল্লি বেশে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ মোতায়েন আছে।

মোনাজাত শেষে ইজতেমা ময়দান ছেড়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী। এর আগে শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) হেলিকপ্টারে চড়ে ইজতেমা ময়দানে আসেন আহমদ শফী।

সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সাদ অনুসারীদের আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এ বছরের ৫৪তম বিশ্ব ইজতেমা শেষ হবে। আগামী বছর ১০, ১১ ও ১২ জানুয়ারি এবং ১৭, ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি দুই পর্বে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।

 

/আইএ/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
এ জে মোহাম্মদ আলীর সম্মানে বন্ধ থাকবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ
এ জে মোহাম্মদ আলীর সম্মানে বন্ধ থাকবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ
শিশুর ত্বকের যত্নে বাজারে এলো ‘সিওডিল বেবি ক্রিম’
শিশুর ত্বকের যত্নে বাজারে এলো ‘সিওডিল বেবি ক্রিম’
এই গরমে ক্রিকেট খেলা অমানবিক: সাকিব
এই গরমে ক্রিকেট খেলা অমানবিক: সাকিব
সুন্দরবনের আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমান বাহিনী
সুন্দরবনের আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমান বাহিনী
সর্বাধিক পঠিত
মাঠ প্রশাসনে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের লাগাম টানবে সরকার
মাঠ প্রশাসনে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের লাগাম টানবে সরকার
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
জাল দলিলে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ!
জাল দলিলে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ!
মিল্টন সমাদ্দারের তিন মামলার বাদীরই মুখে কুলুপ
মিল্টন সমাদ্দারের তিন মামলার বাদীরই মুখে কুলুপ
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি