X
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
২৪ বৈশাখ ১৪৩১

রিফাতের হত্যাকারীদের প্রশ্রয়দাতা কে?

সুমন সিকদার, বরগুনা
২৯ জুন ২০১৯, ১৯:৫২আপডেট : ২৯ জুন ২০১৯, ২০:৩৩

রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান চার আসামি যথাক্রমে নয়ন, রিফাত ফরাজী, রিশান ফরাজী ও চন্দন

বরগুনা সদরে প্রকাশ্য দিবালোকে শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা মামলার মূল আসামিরা জেলা আওয়ামী লীগের চিরচেনা দুই প্রতিপক্ষের ছত্রছায়ায় বেপরোয়া হয়ে ওঠার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর পক্ষের লোকজনের অভিযোগ, রিফাতের হত্যাকারী রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজী বর্তমান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সাবেক সংসদ সদস্য দেলোয়ার হোসেনের ভায়রার ছেলে। দেলোয়ার হোসেনের প্রশ্রয়েই এ দুই ভাই রিফাত হত্যার মতো অপরাধে দুঃসাহসী হয়ে ওঠে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে দেলোয়ার হোসেন দাবি করেছেন, ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর ছেলে এবং জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুনাম দেবনাথের ছত্রছায়ায় রিফাত হত্যা মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ডসহ অন্যরা বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে বলে তিনি শুনেছেন।

দেলোয়ার হোসেন ও সুনাম দেবনাথ (ছবি– প্রতিনিধি)

রিফাত হত্যার পর গত ২৭ জুন হত্যাকারীদের ফাঁসি চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন সুনাম দেবনাথ। এতে তিনি রিফাত হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামি রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজীকে বর্তমান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের ভায়রার ছেলে উল্লেখ করে এ দুই ভাইয়ের বিভিন্ন সময়ে ঘটানো কিছু অপকর্মের চিত্র তুলে ধরেন। একইসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজীর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে দেলোয়ার হোসেনের কাছে গেলে তিনি অভিযোগকারীদের নানাভাবে অপদস্থ করতেন। আর তার এমন প্রশ্রয়ে ওই দুই ভাই এতো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তবে সুনাম দেবনাথের এ ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে কথা উঠলে তিনি স্ট্যাটাসটি ‘হাইড’ করে ফেলেন।

সুনাম দেবনাথের ফেসবুক স্ট্যাটাস নজর এড়ায়নি দেলোয়ার হোসেনের। এ নিয়ে শুক্রবার (২৮ জুন) রাতে বরগুনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। এ সময় তিনি হত্যাকারীদের সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই দাবি করেন এবং হত্যাকারীদের ফাঁসি চান।

২৭ জুন হ্যাশট্যাগ দিয়ে ফেসবুকে সুনাম দেবনাথ লিখেন, ‘আমার ভাইয়ের জীবন গেলো রক্ত-স্রোত-বন্যায়/ক্ষমতাধরের ভায়রার ছেলে, মুখ খোলা তাই অন্যায়!’

এরপর তিনি লিখেন, ‘প্রথমেই আমরা স্পষ্ট হবো নাম নিয়ে। কারণ যে মারা গেছে আর যারা মেরেছে তাদের নাম এক হওয়াতে আমরা গুলিয়ে ফেলছি। কাকতালীয়ভাবে দুই জনের বাবার নামও এক। যে ছেলেটিকে হত্যা করা হলো তার নাম রিফাত শরীফ, পিতার নাম দুলাল শরীফ, সাং: ৬ নং ইউনিয়ন। আর হত্যাকারীদের মধ্যে প্রধান হচ্ছে নয়ন এবং তার সহযোগী হচ্ছে রিফাত ফরাজী, পিতা দুলাল ফরাজী, সাং বরগুনা ধানসিঁড়ি রোড এবং আরেক সহযোগী হচ্ছে রিফাতের ছোট ভাই রিশান ফরাজী, পিতা ও সাং: ওই। এই রিফাত ও রিশানের অন্য এক পরিচয় রয়েছে, তারা দু’জনই সাবেক সাংসদ ও বর্তমান জেলা চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের ভায়রার ছেলে। যারা আদর করে তাকে (দেলোয়ার হোসেন) বাবা বলেই সম্বোধন করে।’

ফেসবুকে সুনাম দেবনাথের দেওয়া স্ট্যাটাস

সুনাম দেবনাথের স্ট্যাটাসে উল্লেখ, ‘রিফাত ও নয়নদের আরও একটি পরিচয় আছে। তারা অত্র এলাকায় এমন কোনও ছাত্রাবাস নাই; যেখান থেকে ছাত্রদের ল্যাপটপ, মোবাইল, টাকা ইত্যাদি চুরি বা ছিনতাই করে নিয়ে আসে নাই। এ নিয়ে বহুবার মামলা হয়েছে, বহুবার তারা জেল খেটেছে, কিছুদিন পর আবার ছাড়াও পেয়েছে। তাদের নামে কতগুলো মামলা রয়েছে তা থানা কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবে।’

এই স্ট্যাটাসে বলা হয়েছে, ‘নয়ন (নয়ন বন্ড) সব থেকে বেশি নজরে এসেছে তখন, যখন সে একটি বড় ধরনের মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়েছিল। প্রায় ১২ লাখ টাকার মাদক নয়নের কাছ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। রিফাত ফরাজীর বিভিন্ন অপকর্মের নালিশ থানায় দেওয়ার পাশাপাশি তার খালু জেলা চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের কাছেও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বারবার নালিশকারীদের সেখান থেকে অপমান, অপদস্থ হয়ে ফিরে আসতে হয়েছে।’

স্ট্যাটাসে প্রকাশ, ‘ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজনের নাম তরিকুল ইসলাম। ২০১৭ সালে একবার এই রিফাত আর রিশান ফরাজী সামান্য কথাকাটাকাটিতে তাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছিল। এ নিয়ে তরিকুলের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলাও করেছিলেন। বিচার নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের খালু দেলোয়ার হোসেনের কাছে। কিন্তু অপমানিত হয়ে ফিরতে হয় তাদের। এরপর ভয়ে তিনি তার ছেলে তরিকুলকে বরিশালে পড়ালেখা করতে পাঠিয়ে দেন। বর্তমানে তরিকুল বরিশালে পড়ালেখা করছে। আরও একজন ভুক্তভোগী হচ্ছেন বরগুনা পৌরসভার একজন কাউন্সিলর, নান্না কমিশনার। তার বাসায় কিছু ছাত্র ভাড়া থাকে। সেখান থেকে এই রিফাত ফরাজী ৫টা মোবাইল ছিনতাই করে এবং এর প্রতিবাদ করায় এই রিফাত ফরাজী তার (নান্না কমিশনার) সামনে রামদা নিয়ে আসে। নান্না কমিশনার দেলোয়ার হোসেনের একজন প্রধান কর্মী হওয়াতে তার কাছে নালিশ দিলে তাকেও সেখান থেকে অপমানিত হয়ে আসতে হয়। এরকম ঘটনা রিফাত করতেই পারে না বলে তাকে (নান্না কমিশনার) সেখান থেকে অপমান করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ডিকেপি রোডের ডা. আলাউদ্দিনের বাসায় কিছু ছাত্র ভাড়া থাকতো; সেখান থেকে এই রিফাত প্রায় ২০টি মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ ছিনতাই করে নিয়ে আসে। পরে তখনকার ওসি রিয়াজের হস্তক্ষেপে রিফাত ফরাজীর বাবাকে থানায় এনে সেই সব মোবাইল উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া, বিভিন্ন সময় তারা অন্য ছাত্রাবাস থেকে মোবাইল, ল্যাপটপ ছিনতাই করে নিয়ে আসতো। এরকম আরও অনেক ঘটনা আছে, যা বলে শেষ করা যাবে না।’

স্ট্যাটাসটিতে সুনাম দেবনাথ উল্লেখ করেন, “যে ছেলেটির (তরিকুলের) ঘটনা প্রথমেই বলেছি, সে বর্তমান ঘটনার (রিফাত হত্যা) প্রেক্ষিতে ফেসবুকে লিখেছে, ‘২০১৭-তে আমার ঘটনার বিচার হলে আজ রিফাতের প্রাণ হারাতে হতো না’। লেখাটি কতটা গুরুত্ববহ, এখন আমরা বুঝতে পারছি।”

সুনাম দেবনাথের দাবি, ‘রিফাত শরিফ আমাদের খুব কাছের ছোট ভাই ও কর্মী ছিল। এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের সঙ্গে থেকেই নির্বাচনি প্রচারণা করেছে। নিজের কাছে খুব খারাপ লাগছে, রিফাতের মৃত্যু সংবাদে। তবে এ খুনের পেছনে আরও অনেক রহস্য আছে। বিভিন্ন মিডিয়ায় যাকে এখন হিরো বানানো হচ্ছে; মূল ভিলেন সে নিজেও হতে পারে। রিফাত শরিফের বন্ধুদের থেকে এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে, তাতে এটাই বোঝা যায়, আর একটু সময় পার হলে হয়তো আরও ক্লিয়ার হওয়া যাবে।’

এ স্ট্যাটাসের ব্যাপারে সুনাম দেবনাথ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি স্ট্যাটাসে যা লিখেছিলাম, সেটা দিনের আলোর মতো সত্য। আমি বলেছিলাম, রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের ভায়রার ছেলে। আমি কোথাও বলিনি, তিনি খুনি বা তার নির্দেশে এই খুন হয়েছে।’

সুনাম দেবনাথের দাবি, ‘আমাদের কাছে নয়ন, রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আসতো, তখন তার (দেলোয়ার হোসেন) কাছে পাঠালে তিনি বিচার না করে বরং উল্টো আমাকে নিয়ে বাজে কথা বলতেন। কিন্তু সেই সময় যদি উনি তার ভায়রার ছেলেদের সঠিক বিচার করতেন, তাহলে আজকে তারা আর এত বড় অপরাধ করার সাহস পেতো না।’

আপনার ফেসবুক স্ট্যাটাস কেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, জানতে চাইলে সুনাম বলেন, ‘ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার বিষয়টি জেলা আওয়ামী লীগের নজরে এসেছে। তাই আমি স্ট্যাটাসটি হাইড করে রেখেছি।’

আপনার ছত্রছায়ায় নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজী বিভিন্ন অপকর্ম করতো, বিভিন্ন সময় আপনি তাদের শেল্টার দিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে, এ কথার জবাবে সুনাম দেবনাথ বলেন, ‘দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক বিরোধিতা দীর্ঘদিনের, সেটা বরগুনাবাসী জানে। এক্ষেত্রে তার লোকজনকে প্রশ্রয় দেওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। বরং বিভিন্ন সময় আমি তাদের আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। কিন্তু তারা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আবার বের হয়ে যেতো।’

শুক্রবার (২৮ জুন) রাতে বরগুনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে দেলোয়ার হোসেন (ছবি- প্রতিনিধি)

এদিকে, সুনাম দেবনাথের স্ট্যাটাসের জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে বরগুনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন দেলোয়ার হোসেন। এ সময় তিনি দাবি করেন, ‘রিফাত হত্যার ঘটনায় জড়িতদের আমি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। এই খুনের মূলহোতা নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজী। ফেসবুকে দেখি, আমাকে নিয়ে একটা নোংরা খেলা শুরু হয়েছে। কারণ রিফাত ফরাজী আমার আত্মীয়। ওদের সঙ্গে আমার কোনও রক্তের সম্পর্ক নেই। ওরা আমার ছেলেও না, ভাইও না, ভাইয়ের ছেলেও না, বোনের ছেলেও না, কিচ্ছু না। বিয়ের সূত্রে রিফাত আমার আত্মীয়। এমন অনেক আত্মীয় থাকে সবারই। তারা কেউ ভালো হয়, কেউ খারাপ হয়, কেউ চোর হয়, কেউ সন্ত্রাসী হয়, ডাকাত হয়। সুতরাং এখানে আমার ওপর দোষ চাপিয়ে দেওয়ার কারণটা কী, আমি ঠিক বুঝতে পারি না। আমি এদের কোনোদিন প্রশ্রয় দিইনি।’

সুনাম দেবনাথের ফেসবুক স্ট্যাটাস প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ওদের (রিফাত ফরাজী ও রোশান ফরাজী) সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই গত ৪-৫ বছর ধরে; কোনও সম্পর্কই নেই।’

বিভিন্ন সময় আপনার কাছে অভিযোগ নিয়ে গেলে আপনি নাকি অভিযোগকারীদের অপমান-অপদস্থ করতেন, এ প্রশ্নের জবাবে দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট কথা।’ এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমি নয়ন বন্ডকে চিনি না। কিন্তু শুনেছি, এই নয়ন নাকি সুনামের শিষ্য। সুনামের নেতৃত্বেই নয়নরা বিভিন্ন অপকর্ম করতো।’

মিন্নি এবং আরেক যুবকের বাধা উপেক্ষা করেই রিফাতকে কোপায় নয়ন ও রিফাত ফরাজী

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু সূত্র জানায়, বিভিন্ন মামলায় নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজী কারাগারে গেলে মোতালেব মিয়া ও হুমায়ন কবির পল্টু নামের দুই আইনজীবীর মাধ্যমে তারা শিগগিরই মুক্ত হয়ে যেতো। এই দুই আইনজীবী দেলোয়ার হোসেনের খুব কাছের লোক।

এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘রিফাত ও রিশান যখন মাদকে জড়ায়, তারপর থেকে আমি ওদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করি। আমার স্ত্রীকেও তাদের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলি।’ 

/এমএ/এমএমজে/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো দিল্লি
রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো দিল্লি
ঢাকা আসছেন মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু
ঢাকা আসছেন মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
নির্দেশ উপেক্ষিত হলেও কৌশলে সফল আ.লীগ
উপজেলা নির্বাচননির্দেশ উপেক্ষিত হলেও কৌশলে সফল আ.লীগ
সর্বাধিক পঠিত
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা
আসছে ব্যয় কমানোর বাজেট
আসছে ব্যয় কমানোর বাজেট
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি, বিএনপির প্রস্তুতি কী?
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি, বিএনপির প্রস্তুতি কী?