রংপুর সদর-৩ আসনের উপনির্বাচনে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। এদিন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও দলটির চেয়ারম্যান এরশাদের ভাতিজাসহ ৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
রংপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা জিএম শাহাতাব উদ্দিনের কাছে দুপুর পৌনে একটার দিকে সর্বপ্রথম মনোনয়নপত্র দাখিল করেন প্রয়াত জাপা চেয়ারম্যান এরশাদের ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহারিয়ার আসিফ।
এরপর বিকাল পৌনে ৪টায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গার নেতৃত্বে জাপা প্রার্থী এরশাদের ছেলে শাদ এরশাদ মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ সময় দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী তাদের সঙ্গে ছিলেন।
তবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শাদ এরশাদের সঙ্গে ছিলেন না মহাসচিব রাঙ্গা। তিনি নিচতলায় দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে অবস্থান করেন।
এরপর বিএনপি প্রার্থী রিটা রহমান মনোনয়নপত্র জমা দেন। তবে তার সঙ্গে দলের জেলা ও মহানগর বিএনপির কোনও নেতাকর্মী ছিলেন না।
সব শেষে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেজাউল করিম রাজু বিশাল শোডাউন নিয়ে এসে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
এ ছাড়া বিকাল ৫টার আগে মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি কাওছার জামান বাবলা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তিনি বলেন, দল যাকে মনোনয়ন দিয়েছে সে বিষয়ে বলার কিছু নেই, তবে জনগণের ইচ্ছায় নির্বাচন করছি।
এদিকে শাদ এরশাদ বলেন, দলের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই, সব মিটে গেছে। তিনি বাবা এরশাদের অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করবেন বলে জানান।
অপরদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেজাউল করিম রাজু বলেন, ’৭৩ সালের পর আওয়ামী লীগ এ আসনে প্রার্থী দিয়েছে। জনগণ এবার নৌকা মার্কাকে বিপুল ভোটে জয়ী করবে।
অন্যদিকে বিএনপি প্রার্থী রিটা রহমান বলেন, আমার স্বামী মেজর খায়রুজ্জামান কারাগারে জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলার আসামি হলেও নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। তিনি বলেন, তার স্বামী মামলার আসামি ছিলেন এটা সত্যি, তবে এ জন্য আমাদের খুনি বলা ঠিক নয়। তার সাথে দলের নেতা কর্মীরা নেই কেন, জানতে চাইলে বলেন, আমি যুদ্ধ করতে এসেছি যুদ্ধ চালিয়ে যাবো।
মনোনয়নপত্র দাখিল করা অন্য প্রার্থীরা হলেন এনপিপির শফিউল আলম, খেলাফত মজলিসের তওহীদুর রহমান মণ্ডল, গণফ্রন্টের কাজী মো. শহীদুল্লাহ ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের একরামুল হক।
রিটার্নিং কর্মকর্তা জিএম শাহাতাব উদ্দিন জানান, মোট ৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।