বসন্তবরণ, ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সারাদেশে জমে উঠেছে ফুলের ব্যবসা। লাভজনক প্রমাণিত হওয়ায় গত কয়েক বছরের দেশের বিভিন্ন জেলায় দেশি-বিদেশি ফুল চাষে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে, বিদেশেও রফতানি হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত দেশের ফুলের চাহিদার অর্ধেকের বেশি পূরণ করছেন যশোর ও ঝিনাইদহের চাষিরা। সেখান থেকে ফুল সংগ্রহ করছেন সারাদেশের ব্যবসায়ীরা। বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস এক সঙ্গে আসায় চাষিরা বিপুল উৎসাহে বাগান থেকে ফুল সংগ্রহ করছেন, চরম ব্যস্ততায় এসব ফুল প্রসেসিং ও প্যাকেটজাত করা হচ্ছে। খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা গত কয়েকদিন ধরেই ফুল সংগ্রহ করে বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ে যাচ্ছেন। ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৩টি জেলায় দেড় লক্ষাধিক লোক ফুল চাষের সঙ্গে জড়িত আছেন। এই মৌসুমে তাদের প্রায় সবারই ব্যস্ত সময় কাটছে।
যশোর
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী ও পানিসারাসহ ছয়টি ইউনিয়নের ৭০০ হেক্টরের বেশি জমিতে প্রায় ছয় হাজার চাষি সারাবছরই ফুল চাষ করেন। তাদের উৎপাদিত রজনীগন্ধা, গোলাপ, জারবেরা, গাঁদা, গ্লাডিওলাস, জিপসি, রডস্টিক, কেলেনডোলা, চন্দ্র মল্লিকাসহ ১১ ধরনের ফুল দেশের বিবিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে। গদখালিতে মৌসুমের মূল বেচাকেনা চলছে এখন। তবে চাষিরা জানান, এ বছর বিরূপ আবহাওয়া ও ভাইরাসজনিত কারণে ফুলের উৎপাদন অনেক কম। এ কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিনই বাড়ছে ফুলের দাম। ব্যবসায়ীরা আশা প্রকাশ করেছেন, তারা অন্তত ২০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি করতে পারবেন।
ফুলচাষি ও ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় বুলবুল, শীতের মাঝে বৃষ্টি ইত্যাদি প্রাকৃতিক কারণে এবার মৌসুমে ফুলের গাছ ক্ষতিগ্রস্ত ও গোলাপের কুঁড়ি পঁচা রোগ হয়। সেকারণে প্রথমদিকে আমরা তেমন একটা লাভ করতে পারিনি। কিন্তু পরবর্তীতে সেই অবস্থা থেকে কিছুটা উত্তরণ হয়। কিন্তু গোলাপের সরবরাহ বেশ কম তাই দামও বেশি।এবার বসন্ত উৎসব আর ভালোবাসা দিবস একইদিন হওয়ায় ফুল বিক্রি একটু কম হচ্ছে। আলাদা আলাদা দিবসে আমাদের ফুলের চাহিদা থাকে। তবে এই দিবস আর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে আমি চার লাখ টাকার ফুল বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি।’
গদখালী বাজারে (১২ ফেব্রুয়ারি) গোলাপ ১৪-১৫ টাকা, জারবেরা ১০ টাকা, রজনীগন্ধা ৪-৫ টাকা, গ্লাডিওডিওলাস ১০-১২ টাকা, জিপসি (প্রতি আঁটি) ১০০ টাকা এবং প্রতি হাজার গাঁদা মিলছে ২০০ টাকায়।
ফুলচাষী মো. শাহাজান এবার ১২ বিঘা জমিতে জবা, রজনীগন্ধা, গ্লাডিওলাসের পাশাপাশি জারবেরার চাষ করেছেন। আবহাওয়া ভালো না থাকায় বাগানে আগের চেয়ে ফুলের উৎপাদন কম। তারপরও দাম বেশি থাকায় সাত লাখ টাকা ঘরে তুলতে পারবেন বলে আশা তার।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, ‘এবার আবহাওয়ার কারণে কিছুটা ক্ষতির শিকার হচ্ছেন কৃষকরা। তবে প্রতি ইউনিয়নে আমাদের তিনজন করে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন। সেইক্ষেত্রে বেশ কমই বলা যায় সংখ্যা। কেননা ঝিকরগাছায় বহু জমিতে কৃষকরা ফুল চাষ করেন।’
বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, ‘আবহাওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা ফুল উৎপাদন ও বিক্রির চিন্তা করি। এবার বসন্ত-ভালোবাসা দিবস ও মাতৃভাষা দিবসে আমরা আশা করছি- ২০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে। এবছর মুজিববর্ষ ঘোষিত হওয়ায় ফুলের চাহিদা থাকবে। কৃষকরা সেদিকে লক্ষ্য রেখে চাষ করছে।’
তিনি জানান, ‘সারাদেশে বছরে আনুমানিক ১৬শ' থেকে ১৭শ' কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়। মূলত নভেম্বর থেকে এপ্রিল মাম পর্যন্ত মৌসুমে বিক্রি হয় এর ৭০ শতাংশ। এছাড়া সারাবছর হিন্দুদের পূজাঅর্চনা, বিয়ে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানসহ অন্যান আয়োজনে বাকি ফুল বিক্রি হয়। এর মধ্যে বৃহত্তর যশোর থেকে বছরে হাজার ১২শ’ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়।’
ঝিনাইদহ
দক্ষিণাঞ্চলে ফুলের রাজধানী নামে খ্যাত যশোরের গদখালী। আর ফুলের দ্বিতীয় রাজধানী নামে খ্যাতি পেয়েছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ। দেশের ফুলের ক্রমবর্ধমান চাহিদার অর্ধেক পূরণ করছে এই দুই এলাকা। আসছে বসন্ত, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের ফুলচাষীরা দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার ফুল বিক্রির টার্গেট নিয়েছেন।
ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জেলার ছয় উপজেলায় ২০৮ হেক্টর জমিতে বিদেশি ফুল লিলিয়াম, জারবেরা, গ্লাডিওলাসসহ বিভিন্ন রকমের ফুলের আবাদ হয়েছে। প্রায় ৮০০ জন কৃষক ফুল চাষ করেছেন। এর মধ্যে শুধু কালীগঞ্জ উপজেলার ফুলের আবাদ হয়েছে ৯০ হেক্টর জমিতে। কালীগঞ্জে চাষ হওয়া ফুলের মধ্যে রয়েছে- লিলিয়াম, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, গোলাপ, চন্দ্র মল্লিকা, গাঁদাসহ বিভিন্ন রকমের ফুল।
ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃপাংশু শেখর বিশ্বাস জানান, উৎপাদন ব্যয় কম, আবার লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকরা ফুল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। জেলার গান্না ও কালীগঞ্জের বালিয়াডাঙ্গা, তিল্লা, সিমলা, রোকনপুর, গোবরডাঙ্গা, পাতবিলা, পাইকপাড়া, তেলকূপ, গুটিয়ানী, কামালহাট, বিনোদপুর, দৌলতপুর, রাড়িপাড়া, মঙ্গলপৈতা, মনোহরপুর, ষাটবাড়িয়া, বেথুলী, রাখালগাছি, রঘুনাথপুরসহ জেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠে ফুল চাষ করা হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি গাঁদা ফুল চাষ হয় কালীগঞ্জে বালিয়াডাঙ্গা এলাকায়। এ কারণে সবাই এখন এই এলাকাকে ফুলনগরী বলেই চেনেন।
ফুলের আবাদকে কেন্দ্র করে কালীগঞ্জ উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা বাজারে গড়ে উঠেছে ফুলের জন্য আলাদা বাজার। ফুলচাষিরা সরাসরি এ বাজারে ফুল বিক্রি করতে আসেন। সরেজমিনে বালিয়াডাঙ্গা বাজার ও কালীগঞ্জের মেইন বাসস্ট্যান্ডে দেখা যায়, শত শত কৃষক তাদের ক্ষেতের উৎপাদিত ফুল ভ্যান, স্কুটার ও ইঞ্জিনচালিত বিভিন্ন পরিবহনে করে নিয়ে আসছেন। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বালিয়াডাঙ্গা বাজার ও কালীগঞ্জ মেইন বাসস্ট্যান্ড ভরে যায় লাল, সাদা আর হলুদ ফুলে ফুলে। একাধিক ফুলচাষিদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, সারা বছরই তারা ফুল বিক্রি করে থাকেন। তবে প্রতিবছর বাংলা ও ইংরেজি নববর্ষের দিন, স্বাধীনতা দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ভালোবাসা দিবসে ফুলের অতিরিক্ত চাহিদা থাকে। এসময় দামও থাকে ভালো। ফুলচাষিরা নিজেরা না এসে সারা বছর তাদের ক্ষেতের ফুল চুক্তি অনুযায়ী ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বড় বড় শহরের ফুলের আড়তে পাঠিয়ে দেন। এসব স্থানের আড়তদাররা বিক্রির পর তাদের কমিশন রেখে বাকি টাকা পাঠিয়ে দেন।
সাভার
ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকা সাভারে ফুলচাষ ক্রমেই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর ৩০০ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে গোলাপ, রজনীগন্ধা, গ্লাডিওলাস ও জারবেরা প্রজাতির ফুল। এর মধ্যে শুধু আড়াইশো হেক্টর জমিতেই চাষ হচ্ছে গোলাপ। এর মধ্যে বিরুলিয়া ইউনিয়নের আক্রান, বিরুলিয়া ও আইঠর গ্রামের আট হেক্টর জমিতে বাণিজিকভাবে জারবেরা ফুলের চাষ শুরু হয়েছে। প্রতি বছর দেশের অভ্যন্তরীণ ফুলের বাজারে সাভার এলাকা থেকে প্রায় ২৫-৩০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়। এ মাসে অন্তত চার কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
বিরুলিয়া এলাকার ফুল চাষী কবির হোসেন বলেন, তারা প্রায় আট বছর আগে বিদেশ থেকে জারবেরা ফুলের চারা নিয়ে এসে এখানে বাগান করেছে। বর্তমানে ফুলের চাহিদাও বেড়েছে। গত কয়েকদিন ধরে তারা আট থেকে ১০ টাকা দরে প্রতিটি ফুল পাইকারি বিক্রি করছেন। এবারের দিবসগুলোতে দ্বিগুন মূলে ফুল বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন তারা।
ভবানীপুর ও শ্যামপুর এলাকার ফুল চাষী হাসান এবং হিমেল জানান, এ বছর শীত বেশি হওয়ার কারণে ফুল উৎপাদন কিছুটা কম হয়েছে। এ কারণে বেশি দামে ফুল বিক্রি করে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার কথাও জানান তিনি। কয়েকদিন আগে প্রতিটি গোলাপ ৩ থেকে ৫ টাকা দরে বিক্রি করলেও বর্তমানে ৮ থেকে ১০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। তবে গোলাপের দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা উঠতে পারে বলেও আশা করছেন তিনি।
বিরুলিয়া ফুল চাষি সমিতির আহ্বায়ক মুহাম্মদ নাসির বলেন, বসন্ত বরণ ও ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে তাদের এখানকার ফুলের বাজার জমে উঠেছে। বর্তমানে তারা প্রতিদিন এই বাজারে প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকার ফুল বিক্রি করছেন। তবে এই ফুল বিক্রির পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে।
সাভার উপজেলা কৃষি অফিসার নাজিয়াত আহমেদ বলেন, রাজধানীর ফুলের চাহিদার অধিকাংশ পূরণ হয় সাভারের বিরুলিয়া এলাকা থেকে। আর এখানকার লাল মাটি ফুল চাষের জন্য ব্যাপক উপযোগী। ফুলের চারা রোপণ থেকে শুরু করে বাগান পরিচর্যা ও কীটনাশকসহ যাবতীয় সব বিষয়ে চাষিদের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা
বসন্তবরণ, ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় ৩০ লক্ষাধিক টাকার ফুল বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। আগের বছরগুলোর চেয়ে এবছর ফুলের ব্যবসা ভালো হবে বলে আশা করছেন জেলার ফুল ব্যবসায়ীরা। এবছর চুয়াডাঙ্গায় বেশি প্রচলিত ফুলের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে গোলাপ, রজনীগন্ধা, গ্লাডিওলাস, জারবেরা ও গাদা ফুলের মালা।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবার ৬৫ হেক্টর জমিতে এবার ফুল চাষ হয়েছে। আলমডাঙ্গা, দামুড়হুদা ও দর্শনায় ফুলের চাষ হয়েছে বেশি। চুয়াডাঙ্গা শহরের ফুল ব্যবসায়ী আকুল হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, গোলাপ, গ্লাডিওলাস (স্থানীয় নাম কালার ষ্টিক), রজনী গন্ধার চাহিদা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেকাংশে বেড়ে গেছে। তিনি জানান, গোলাপের বর্তমান পাইকারি দাম রয়েছে প্রতি পিস ১৭ থেকে ১৮ টাকা এবং খুচরা মূল্য ৪০-৫০ টাকা, রজনীগন্ধা ৩ টাকা প্রতি পিস পাইকারি মূল্য ও খুচরা বাজার মূল্য ৫-৬ টাকা, চন্দ্রমল্লিকা ১০০ পিস পাইকারি মূল্য ১৫০ টাকা এবং খুচরা মূল্য ৪০০ টাকা ১০০ পিস, জারবেরা প্রতি পিস পাইকারি মূল্য ১২-১৩ টাকা এবং খুচরা মূল্য ২০ টাকা প্রতি পিস, গাদা ফুলের মালা পাইকারি মূল্য ৫-৬ টাকা এবং খুচরা বাজারে ১২-১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর ফুলের হাটের সভাপতি আনারুল ইসলাম জানান, তিনি ১৯৮৮ সাল থেকে ফুল নিজে চাষ করে বিক্রি করে আসছেন। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফুল সরবরাহ করেন। এই ব্যবসায়ী আক্ষেপ করে বলেন, ‘দেশের ২৩টা জেলায় প্রায় দেড় লক্ষাধিক ফুল চাষিরা প্রাকৃতিক ফুলের চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। কিন্তু বর্তমানে চীন থেকে প্লাষ্টিকের ফুল আমদানি করায় দেশে উৎপাদিত ফুলের চাহিদা কমে যাচ্ছে। চীন থেকে প্লাষ্টিক ফুল আমদানি বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।’
নারায়ণগঞ্জ
বন্দরনগরী নারায়ণগঞ্জে দিন দিন বাড়ছে ফুল চাষ। অন্যান্য ফসলের তুলনায় ফুল চাষ লাভজনক হওয়ায় জেলার বন্দর উপেহেলার সাবদি ও রূপগঞ্জের মাসুমাবাদ এলাকার শতাধিক একর ফসলি জমিতে এখন নানা রকমের ফুল চাষ হচ্ছে। রজনীগন্ধা, গোলাপ, ডালিয়া, চাঁপা, গাঁদা, চেরি, চন্দ্রমল্লিকা, জবা, সূর্যমুখী, স্টার, কাঠমালতি, বেলি, জারবেরা, ও জিপসিসহ হাজারো ফুলের সমারোহে ভরে উঠেছে এসব ক্ষেত। সাবদি ও মাসুমাবাদ এলাকায় চাষিরা এবার পাঁচ কোটি টাকার বেশি ফুল রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে সরবরাহ করবেন। এজন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন নারায়ণগঞ্জের পাঁচ শতাধিক ফুল চাষি ও তাদের পরিবার।
ময়মনসিংহ
জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল মাজেদ বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে অর্কিড ফুলের চাষ হচ্ছে। এই অর্কিড দেশের বাইরে রফতানি হচ্ছে। তবে এর বাইরে অন্য কোনও ফুলের চাষ বাণিজ্যিকভাবে এ জেলায় হচ্ছে না। এরপরও বসন্তবরণ, ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে সামনে রেখে ময়মনসিংহে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে। ব্যবসায়ীরা জানান, চাহিদার কারণে ফুলের দাম বেশি হওয়ায় এবার ফুল আগে থেকেই সংরক্ষণ করা হয়নি। চাহিদা অনুযায়ী প্রতিদিন ফুল আনা হচ্ছে।
প্রতিবেদন তৈরিতে সাহায্য করেছেন যশোর থেকে তৌহিদ জামান, ঝিনাইদহ থেকে নয়ন খন্দকার, সাভার থেকে নাদিম হোসেন, চুয়াডাঙ্গা থেকে মেহেদী হাসান, নারায়ণগঞ্জ থেকে আমির হোসাইন স্মিথ, ময়মনসিংহ থেকে আতাউর রহমান জুয়েল।