X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নিরাপত্তা চৌকিতে বিচ্ছিন্ন মুন্সীগঞ্জ

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
০৭ এপ্রিল ২০২০, ১৮:১৯আপডেট : ০৭ এপ্রিল ২০২০, ১৮:৫১

মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় সড়কে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রুখতে মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন প্রবেশদ্বারে নিরাপত্তা চৌকি বসিয়েছে পুলিশ। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও মুক্তারপুরসহ জেলার প্রধান সড়কগুলোতে এই নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছে। তবে, কোনও করোনা রোগী না থাকায় জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়নি বলে জানিয়েছে প্রশাসন। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন।

তিনি জানান, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যাতে কেউ বের হতে না পারেন এবং অন্য জেলার লোকজন যাতে মুন্সীগঞ্জে অবাধে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্যই নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছে।

তিনি বলেন, শুধু মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় ছয়টি স্থানে নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছে। কারণ, মুন্সীগঞ্জের চারদিকের জেলাগুলোতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কয়েকজন মারা গেছেন, অসুস্থ আছেন বেশ কয়েকজন।

এদিকে, করোনা পরিস্থিতিতে মুন্সীগঞ্জের পাশের জেলা নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও মাদারীপুর জেলার বেশ কয়েকটি এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মুন্সীগঞ্জের বাসিন্দারা নিজ জেলাকে লকডাউন করে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। তারা আশঙ্কা করছেন, জেলার মানুষকে সুরক্ষিত রাখার জন্য এই সিদ্ধান্ত এখনই নেওয়া প্রয়োজন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও জেলাকে লকডাউন করে দেওয়ার দাবি জোড়ালো হচ্ছে।

মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস প্রবেশপথগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে জেলাকে সুরক্ষিত রাখতে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেছেন। সংসদ সদস্য বলেন, মুন্সীগঞ্জবাসী এখনও করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত আছেন। দুর্ভোগ্যজনক হলেও সত্য আমাদের পাশের জেলা নারায়ণগঞ্জেই করোনাভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। অতএব, মুন্সীগঞ্জবাসীর নিরাপত্তার জন্য সব প্রবেশদ্বারগুলোকে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য অর্থাৎ কেউ যাতে ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে এবং বাইরে যেতে না পারেন এমন ব্যবস্থা নেওয়া হলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে এবং নিরাপদে থাকবে বলে মনে করি।

এদিকে জেলার সিভিল সার্জন মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, মুন্সীগঞ্জের কোনও বাড়ি লকডাউন হয়নি। নারায়ণগঞ্জে যেভাবে ছড়াচ্ছে তার জন্য যেসব মিশুক, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চলাচল করে সেসব বন্ধ করে দেওয়া প্রয়োজন। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগও বন্ধ রাখা প্রয়োজন। এলাকায় যদি কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয় তাহলে লকডাউন হয়। জেলা লকডাউনের বিষয়টি এককভাবে হয় না।

সার্বিক বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, লকডাউন শব্দটির অর্থ হচ্ছে বন্ধ করে দেওয়া। এর নিয়ম হচ্ছে যেখানে কোনও আক্রান্ত ব্যক্তি পাওয়া যাবে, তার থেকে যাতে অন্য কোথাও না ছড়ায় সেজন্য লকডাউন। মুন্সীগঞ্জে এখনও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। তাই লকডাউনের প্রশ্নটি আমাদের জন্য প্রযোজ্য নয়। পাশের জেলায় যেখানে আক্রান্ত ব্যক্তি আছে, ওই এলাকা থেকে কেউ যাতে মুন্সীগঞ্জে ঢুকতে না পারে সেজন্য চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। মুক্তারপুর ব্রিজ, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কসহ বেশ কিছু জায়গায় নজরদারি আছে, যাতে কেউ ঢুকতে না পারে। সরকারি সিদ্ধান্তে লকডাউন আসলে, তখন লকডাউন করা হবে বলে জানান তিনি।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে মুন্সীগঞ্জে গেল ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টিনে কেউ যুক্ত হননি। জেলার ছয়টি উপজেলায় মোট হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন পাঁচ জন। আর ভারত ফেরত দুই জনকে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা আছে। আজ পর্যন্ত মোট ৬৮৯ জন হোম কোয়ারেন্টিন সম্পন্ন করেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

/টিটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বাগেরহাটে কৃষককে পিটিকে হত্যা
বাগেরহাটে কৃষককে পিটিকে হত্যা
একসঙ্গে ৭৩ নেতাকে বহিষ্কার করলো বিএনপি
একসঙ্গে ৭৩ নেতাকে বহিষ্কার করলো বিএনপি
চীনে রুপা জিতে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সুকান্ত ও নয়ন
চীনে রুপা জিতে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সুকান্ত ও নয়ন
বাংলাদেশ ব্যাংকে সংবাদকর্মীদের প্রবেশে বাধা: উদ্বিগ্ন টিআইবি
বাংলাদেশ ব্যাংকে সংবাদকর্মীদের প্রবেশে বাধা: উদ্বিগ্ন টিআইবি
সর্বাধিক পঠিত
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন