বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের চরলক্ষ্মীপাশা গ্রামের পাণ্ডব নদীর চরের ঝোপঝাড়ের মধ্য থেকে ছেলের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের ১০ ঘণ্টার ব্যবধানে পিতার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৪ জুলাই) সকাল ৭টায় ছেলের মরদেহ থেকে পাঁচশ গজ দূরে পিতার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতরা হচ্ছে- হেলালউদ্দিন হাওলাদার (৫০) ও তার ছেলে ইয়াসিন হাওলাদার (২৫)। তারা পেশায় চাই (মাছ ধরায় ব্যবহার হয়) বিক্রেতা। পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার কলারদোয়ানিয়া গ্রামের বাসিন্দা তারা।
কবাই হাটের চাই বিক্রেতা মো. হাসান জানান, ট্রলার বোঝাই করে ইয়াসিন ও তার পিতা শুক্রবার বাকেরগঞ্জের কবাই হাটে আসে। সেখানকার এক ব্যক্তি তাদের কাছ থেকে ৬০টি চাই ক্রয় করেন। এরপর ওই চাই তার বাড়িতে দিয়ে আসতে বলেন। ট্রলারসহ চাই পৌছে দিতে গিয়ে তারা আর ফিরে আসেনি।
বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, শনিবার চরলক্ষ্মীপাশা গ্রাম থেকে মোবাইল করে জানানো হয় সেখানে আরও একটি মরদেহ পড়ে রয়েছে। মরদেহের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত আছে। সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে ইয়াসিনের পিতা আলাউদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ওসি আরও জানান, বিভিন্ন মাধ্যমে খবর পেয়ে নিহতদের স্বজন থানায় এসে মরদেহ দুটি শনাক্ত করেছেন। তবে কারা এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করতে পারে সে বিষয়ে তারা কিছুই বলতে পারেননি। ওসির ধারণা, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে। শুধু চাই বোঝাই ট্রলার ছিনতাইর জন্য এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়নি। যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত ৯টায় বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের চরলক্ষ্মীপাশা গ্রাম থেকে গলাকাটা ইয়াসিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। লুঙ্গি ও জামা পরিহিত যুবককে ছুড়ি দিয়ে গলাকেটে ফেলে রাখা হয় বলে পুলিশের ধারনা। ওই স্থান থেকে মাছ ধরার চাই ও কিছু আমও উদ্ধার করা হয়।