খুলনা-৬ আসনে তিনবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা অ্যাডভোকেট শেখ মো. নুরুল হকের দাফন বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) পাইকগাছার নিজ গ্রামে সম্পন্ন হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টায় পুরাইকাঠি ঈদগাহ ময়দানে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
জানাজায় সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু, সাবেক সংসদ সদস্য সোহরাব আলী সানা, পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ ডি এম খালিদ হোসেন সিদ্দিকীসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী, স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
গত বুধবার (২৯ জুলাই) দুপুর ২টায় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাবেক সংসদ সদস্য শেখ মো. নূরুল হক। মৃত্যুকালে তিনি তিন ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
নুরুল হকের বড় ছেলে শেখ মনিরুল হক জানান, ঢাকা থেকে তার মরদেহ বুধবার দিবাগত রাতেই পাইকগাছায় আনা হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বৃহস্পতিবার দুপুরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। শেখ মো. নুরুল হক গত ৯ জুলাই কারোনা আক্রান্ত হন এবং ২৩ জুলাই সংক্রমন মুক্ত হন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সাবেক এই সংসদ সদস্য দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এ অবস্থায় তিনি জ্বর, সর্দি, কাশিসহ নানা রোগে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে তার নমুনা পরীক্ষা করতে দিলে গত ৯ জুলাই করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। ১০ জুলাই তাকে খুলনার করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৩ জুলাই তার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তবে শারীরিক অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় ঢাকার একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
উল্লেখ্য, বর্ষিয়ান এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) আসন থেকে ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে জামায়াত ইসলামী প্রার্থীর নিকট ৭শ’ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। ১৯৯৬ সালে মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০০১ সালের নির্বাচনে পরাজিত হন এবং ২০১৪ সালে পুনরায় আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিবাচিত হন। ১৯৪০ সালের ১৫ নভেম্বর তার জন্ম। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন মেজ।