জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিন্ধিয়াঘাট নৌ-রেস্ট হাউজটি পুরনো আদলে রেখে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১৬ আগস্ট) কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গোপালগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য লেঃ কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান সিন্ধিয়াঘাট নৌ-রেস্ট হাউজ পরিদর্শন করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীদের এ নির্দেশনা দেন। একইসঙ্গে আগামী এক মাসের মধ্যে রেস্ট হাউজটির কাজ শেষ করার জন্য তাগিদ দেন তিনি।
দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে নৌ-রেস্ট হাউজটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে ছিল। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ধরে রাখতে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নির্মাণ করা হবে সীমানা প্রাচীর। লাগানো হবে শোভাবর্ধনকারী গাছ। নদীর তীর সংরক্ষণ করে নির্মিত হবে ওয়াকওয়ে। উচ্ছেদ করা হবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা ।
গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বৈদ্য বলেন, রেস্ট হাউজটি সংস্কারের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সময় বঙ্গবন্ধু সিন্ধিয়াঘাট রেস্ট হাউজের যে চেয়ারে বসতেন বা যে সব জিনিস ব্যবহার করতেন সে সব জিনিসপত্র তাদের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। রেস্ট হাউজটি পুরনো আদলে ফেরানোর পর বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত জিনিসপত্র স্মৃতি হিসেবে রাখা হবে।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি বলেন, দেশ স্বাধীনের আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংগঠনিক কাজে ও ফরিদপুর আদালতে হাজিরা দিতে নৌ-পথে টুঙ্গিপাড়া থেকে ফরিদপুর যেতেন। টুঙ্গিপাড়া থেকে নৌপথে এমবিআর চ্যানেল হয়ে মুকসুদপুরের সিন্ধিয়াঘাট রেস্ট হাউজে যাত্রা বিরতি ও রাত্রি যাপন করতেন। পরদিন তিনি ওই রেস্ট হাউজ থেকে আবার নৌপথে ফরিদপুর গিয়ে মামলায় হাজিরা দিতেন।
এ সময় গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বৈদ্য, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মীর শাহিনুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী অরুন কুমার চক্রবর্তী, শরিফুল ইসলাম, মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান মিয়া, সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম শিকদার, স্থানীয় গোহালা ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।