গাংনী উপজেলার কাজীপুর ইউনিয়নের সাহেবনগর গ্রামে ছহির উদ্দীন (৭০) নামে মাদ্রাসার এক খাদেমকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পাঁচ সন্তানের জনক নিহত ছহির উদ্দীন সাহেবনগর গ্রামের মৃত নায়েব উদ্দীন মন্ডলের পুত্র এবং একই গ্রামের হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এ এতিমখানার খাদেম ও নৈশপ্রহরীর দায়িত্বে ছিলেন।
বুধবার (২ সেপ্টেস্বার) সকালে সাহেবনগর কবরস্থানের পাশে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
নিহতের স্ত্রী হানুফা খাতুন জানান, আমার স্বামী মাদ্রাসায় পাহারা দিয়ে থাকেন। বুধবার সকালে শিক্ষক-ছাত্ররা মাদ্রাসায় ছিলেন না। এ সুযোগে সন্ত্রাসীরা তাকে একা পেয়ে এতিমখানার পাশে কবরস্থানের পাশে কুপিয়ে হত্যা করে ফেলে যায়। তার সঙ্গে কারোর কোনও বিরোধ ছিল না।
নিহতের মেয়ে শাহিনা খাতুন জানান, তার বাবা খাদেম হিসেবে কাজের পাশাপাশি কবর খনন করতো। কেন ও কী কারণে তার বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে তারা জানেন না।
নিহতের জামাতা শিক্ষক আব্দুল আওয়াল জানান, তার শ্বশুর ধর্মকর্ম নিয়েই হেফজখানায় থাকতেন, তার কোনও শত্রু ছিল না। কিন্তু কী কারণে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো তারা নিশ্চিত কোনও তথ্য দিতে পারেনি।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, ছহির উদ্দীনকে কুপিয়ে হত্যা করার সময় মাদ্রাসার দু’জন শিক্ষার্থী দেখেছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করার সম্ভব হবে।
পীরতলা পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ বাবুল মিয়া জানান, নিহত ছহির উদ্দীনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
গাংনী থানার ওসি মো. ওবায়দুর রহমান জানান, হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর মর্গে নেওয়া হয়েছে।