সদ্যোজাত সন্তান হারানোর কষ্ট বুকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে ফিরছিলেন ঝালকাঠির আরিফ রাড়ি ও তার বোন শিউলি বেগম। সঙ্গে ছিলেন তামান্না নামের শিশুটির দাদিসহ মোট ৫ যাত্রী। বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার আটিপাড়া এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কাভার্ডভ্যান হঠাৎ ডানদিকে সরে এসে তাদের অ্যাম্বুলেন্সটিকে ধাক্কা দেয়। এতে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা সম্ভব হয়নি আর চালকের। মুহূর্তে দুমড়ে-মুচড়ে যায় অ্যাম্বুলেন্সটি। মেয়ের মরদেহ আর দাফন করা হয়নি আরিফ রাড়ির। মেয়ের সঙ্গে না ফেরার দেশে চলে গেছেন বাবা-ফুপু-দাদি-চাচাসহ ওই অ্যাম্বুলেন্সের সব যাত্রী। মারা গেছেন চালকও।
বুধবার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, মৃত শিশুটির বাবা ঝালকাঠির বাসিন্দা আরিফ রাড়ি, ফুপু শিউলী বেগম, দাদি নূরজাহান বেগম, চাচা কাইয়ুম রাড়ি ও অজ্ঞাত এক পুরুষ। ধারণা করা হচ্ছে, ওই পুরুষ ব্যক্তি নিহতের স্বজন। এদের সঙ্গে নিহত হয়েছেন অ্যাম্বুলেন্স চালক মো. আলমগীর।
উজিরপুর থানার ওসি জিয়াউল আহসান জানান, গত ৬ সেপ্টেম্বর তামান্না নামে এক শিশুর জন্ম হয়। তবে অসুস্থতার কারণে ৩ দিন বয়সী শিশুটি মারা যায়। তামান্নার মরদেহ নিয়ে তার বাবা-মা-দাদি-চাচাসহ আরেক ব্যক্তি অ্যাম্বুলেন্সটিতে করে ঢাকা থেকে ঝালকাঠির দিকে ফিরছিল। আটিপাড়া নামের এলাকাটিতে অ্যাম্বুলেন্সটির বিপরীত দিক দিয়ে আসছিল একটি কাভার্ডভ্যান, ওই কাভার্ডভ্যানের পেছনে ছিল মায়া পরিবহন নামে একটি বাস। ওই স্থানে বাসটি হুট করে পেছন থেকে কাভার্ডভ্যানটিকে ধাক্কা দিলে ভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডানদিকে সরে আসে। আর সঙ্গে সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা অ্যাম্বুলেন্সটিকে চাপা দেয়। সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সটি দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে এর চালকসহ ৬ যাত্রী নিহত হন। পরবর্তীতে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে আটকে পড়া মরদেহগুলো বের করে।