উড়োজাহাজে করে কক্সবাজার থেকে রাজশাহী এসেছে দুই ভ্যানচালক সঙ্গে এমন গোপন খবরে তাদের খোঁজ নিতে গিয়ে বাড়ি থেকে সাড়ে ৯ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এসময় তিন
সন্দেহভাজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে তারা। তবে নাটের গুরু বাকি দুজন পালিয়ে গেছে। মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার বড়বড়িয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার ও ইয়াবাগুলো জব্দ করা হয়।
গ্রেফতার তিনজন হলেন কক্সবাজারের টেকনাফ থানার মো. সৈয়দ আলম (৩৯), চারঘাট উপজেলার বড়বড়িয়া গ্রামের মোছা. চাঁন বানু (৪২) ও তাঁর মেয়ে মোছা. সম্পা খাতুন (২০)। র্যাবের অভিযান টের পেয়ে পালিয়ে যান একই এলাকার মো. সিদ্দিকুর রহমান (৪৪) ও টেকনাফের মো. আবদুল মজিদ (২৩)।
বুধবার দুপুরে র্যাব-৫ এর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৫ মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করে। বাড়ির মালিক সিদ্দিকুর রহমান ও টেকনাফ থেকে আসা আবদুল মজিদ বাড়ির জানালা দিয়ে পালিয়ে যান। এ সময় ওই বাড়ির ড্রেসিং টেবিলের নিচে স্কচ টেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ৯ হাজার ৩১৫টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া নগদ ২৩ হাজার টাকা, চারটি মোবাইল ফোনসেট, পাঁচটি সিমকার্ড ও তিনটি জাতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়। রাজশাহী মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি দল অভিযানটি পরিচালনা করে।
র্যাব-৫ কোম্পানির অধিনায়ক এটিএম মাইনুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, টেকনাফের দুই ব্যক্তি সেখানে ভ্যানরিকশা চালায়। তারা উড়োজাহাজে করে রাজশাহীতে এসেছে। কিন্তু সঙ্গে করে উড়োজাহাজে করে কিছু নিয়ে এসেছিল কিনা সে ব্যাপারে মুখ খুলছে না। তবে আমরা ধারণা করছি, তারা ইয়াবাগুলো উড়োজাহাজে করে আনতে পারে। কারণ, তারা রুট হিসেবে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে থাকে। তাই আমরা আরও তদন্ত করছি।
তিনি আরও বলেন,এই চক্র দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার থেকে রাজশাহীতে ইয়াবা আনে। আর রাজশাহী থেকে কক্সবাজারে ফেনসিডিল নিয়ে যায়। এ ঘটনায় র্যাব বাদী হয়ে চারঘাট মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছে। ওই মামলায় বুধবার সকালে আটক ব্যক্তিদের গ্রেফতার দেখিয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।