গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার খৈকড়া এলাকার এক গৃহবধূকে জায়গা কিনে দেওয়ার কথা বলে ৭ লাখ টাকা নিয়ে জিম্মি করে ১৩ বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গৃহবধূর একমাত্র সন্তানকে হত্যা ও ধর্ষণের ভিডিও প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে অভিযুক্ত ফারুক (৪৫) তাকে ধর্ষণ করে আসছিল বলে অভিযোগ করা হয়।
শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মোজাম্মেল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত গাজীপুরের কালীগঞ্জের খৈকড়া এলাকার মৃত ফজর আলীর ছেলে ফারুকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাতে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
অভিযোগকারীরা জানায়, বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে গৃহবধূর বাড়িতে ঢুকে আবারও হত্যার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে ফারুক। এদিন গৃহবধূর ছেলে বাড়িতে ছিল। এ সময় সে প্রতিবাদ এবং চিৎকার শুরু করলে চার দিনের মধ্যে গৃহবধূ এবং তার সন্তানকে গলা কেটে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায় ফারুক।
ওই গৃহবধূর ছেলে তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে বিচার দাবি করে। ওই ছেলে জানান, তার মা ও সে হত্যার ঝুঁকিতে রয়েছেন। সে ঢাকার একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
অভিযোগে জানা গেছে, ওই গৃহবধূর স্বামী ১৯৯৫ সাল থেকে কর্মসূত্রে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। বছর তিন পর পর কিছু দিনের জন্য দেশে আসতেন। ২০০৭ সালের দিকে ফারুক রাজধানীতে জমি কিনে দেওয়ার কথা বলে গৃহবধূর কাছ থেকে সাত লাখ টাকা নেন। বাবার বাড়ি থেকে এবং সুদে সংগ্রহ করে টাকাগুলো ফারুককে দেওয়া হয়। এরপর জমি কিনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে ফারুক বিভিন্ন সময় তাকে কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। একপর্যায়ে ছেলেকে হত্যা, টাকা ফেরত না দেওয়া এবং ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে বছরের পর বছর ধর্ষণ করতে থাকে।
কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মোজাম্মেল হক জানান, মামলা রুজু হয়েছে। মামলার বিষয়ে তদন্ত চলছে। গৃহবধূর স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রক্রিয়াধীন। অভিযোগকারীদের নিরাপত্তা দিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।