X
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫
১৭ আষাঢ় ১৪৩২

সবাই মিলে রায়হানকে নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছেন এসআই আকবর

সিলেট প্রতিনিধি
১৭ নভেম্বর ২০২০, ১৪:৩৪আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০২০, ১৬:৫০

অভিযুক্ত উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়া (বরখাস্ত)

সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিহত রায়হান আহমদ হত্যায় অভিযুক্ত উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়া (বরখাস্ত)-এর সাত দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে। রিমান্ডে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন এবং বলেছেন, যা করেছেন সবাই মিলে করেছেন, তিনি একা কিছু করেননি।

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) আদালতের এপিপি সৈয়দ শামীম এই তথ্য জানিয়েছেন। রায়হানকে হত্যাকাণ্ডের দায় আকবর নেননি জানিয়ে তিনি বলেন, 'আকবর বলেছেন, তিনি একা দায়ী নন। তিনিসহ এই মামলার আসামিরা সবাই মিলেই রায়হানকে পিটিয়ে আহত করেছেন। এরপর রায়হানকে হাসপাতালেও নিয়ে যান তারা। পরবর্তীতে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন।'

এর আগে, ১০ নভেম্বর সিলেট চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে আকবরকে হাজির করা হয়। এসময় তদন্ত কর্মকর্তা সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক আবুল কাশেম তা মঞ্জুর করেন।

জানা যায়, ৯ নভেম্বর সকালে কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী খাসিয়াদের সহযোগিতায় পুলিশ আকবরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলা পুলিশ আকবরকে পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করেছে।

উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর অফিস থেকে বের হয়ে বন্দরবাজার এলাকায় যাওয়ার পর রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যান এএসআই আশেক এলাহী। জানা গেছে, সেখানে টাকার দাবিতে নির্যাতনে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন রায়হান। এজন্য রাতে পুলিশের ফোন থেকে সৎবাবাকে ফোনও করেন রায়হান। ১০ হাজার টাকা নিয়ে পরিবারের সদস্যরা রাতে ফাঁড়িতে এলেও ততক্ষণে গুরুতর আহত হওয়ায় তাদের ফেরত পাঠানো হয়। ওইদিন সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে রায়হানকে গুরুতর আহত অবস্থায় ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন এএসআই আশেক এলাহীসহ পুলিশ সদস্যরা। সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান রায়হান। এই ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগ এনে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর মহানগর পুলিশের তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতা পেয়ে বন্দর বাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবরসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করে। বরখাস্তদের মধ্যে রয়েছেন–কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ ও টিটু দাস। প্রত্যাহার হওয়া তিনজন হলেন−এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজীব হোসেন। আর এ ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবর।

/এএইচ/এমএমজে/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই জ্বালানি রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তা জরুরি
ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই জ্বালানি রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তা জরুরি
ফিরে দেখা: ১ জুলাই ২০২৪
ফিরে দেখা: ১ জুলাই ২০২৪
এনবিআরের আন্দোলনে এক বন্দরে হাজার কোটি টাকার ক্ষতি
এনবিআরের আন্দোলনে এক বন্দরে হাজার কোটি টাকার ক্ষতি
টিভিতে আজকের খেলা (১ জুলাই, ২০২৫)
টিভিতে আজকের খেলা (১ জুলাই, ২০২৫)
সর্বাধিক পঠিত
তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে
তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে
সঞ্চয়পত্রে কমলো মুনাফার হার, কার্যকর ১ জুলাই থেকে
সঞ্চয়পত্রে কমলো মুনাফার হার, কার্যকর ১ জুলাই থেকে
রূপপুর প্রকল্পের ১৮ প্রকৌশলী অপসারণ: হাইকোর্টের রুল
রূপপুর প্রকল্পের ১৮ প্রকৌশলী অপসারণ: হাইকোর্টের রুল
ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ
ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ
ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাস উপদেষ্টা আসিফ ও সাংবাদিক জুলকারনাইনের
ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাস উপদেষ্টা আসিফ ও সাংবাদিক জুলকারনাইনের