প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেছেন, দেশে এখন নবম ওয়েজবোর্ড কার্যকর হয়েছে। অনেকে কাজ না করে দেড়লাখ টাকা বেতন পান। তারা প্রেসক্লাবে নির্বাচন করেন। অনেকেই বিভিন্ন এনজিওর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। কিন্তু যারা মিডিয়ার জন্য ঘাম ঝরান, তারা বেতন পান না।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ফেনীতে পিআইবি আয়োজিত তিন দিনব্যাপী অনুসন্ধানমূলক রিপোর্টিং প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিকদের আমরা প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া তহবিল থেকে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে সহায়তা দিয়েছি। কিন্তুু দুঃখের বিষয় ফটোসাংবাদিক এবং ভিডিও সাংবাদিকদের নিয়োগপত্র না থাকায় তাদের সহযোগিতা দেওয়া যায়নি। আমরা এ বিষয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবো। আমরা ঢাকার বাইরে যত ক্যামরাপারসন রয়েছেন সবার নিয়োগপত্র চাইবো।
পিআইবির মহাপরিচালক বলেন, ঢাকার বাইরে যারা সাংবাদিকতা করেন, তাদের চাকরির কোনও স্থায়িত্ব নেই। বছরের পর বছর কাজ করে যাওয়ার পরও চাকরি স্থায়ী হয় না, এমনকি তাদের তেমন বেনিফিটও দেওয়া হচ্ছে না। অথচ বাংলাদেশের মিডিয়াকে সরকার সবচেয়ে বেশি ভর্তুকী দেয়।
জাফর ওয়াজেদ বলেন, পত্রিকার মাধ্যমে করোনার জীবাণু ছড়ায় এমন গুজবে ঢাকাসহ সারা দেশে পত্রিকার পাঠক কমে গেছে। এখন অধিকাংশ বাসাবাড়িতে পত্রিকা রাখা হয় না। অনেক হকার বেকার হয়ে পড়েছে। আমাদের মতো কিছু লোক ছাড়া অন্যারা পত্রিকা পড়েন না। নতুন প্রজন্মের পত্রিকার প্রতি তেমন আগ্রহ নেই। তাদের আগ্রহ ফেসবুকের প্রতি। তারা অনলাইনে পড়ে নেয়। কোথাও কোথাও সাংবাদিক ছাঁটাই হয়েছে। কোথাও বেতন কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এসব দুঃখজনক কাহিনীর শেষ নেই।
তিনি আরও বলেন, ঢাকার বাইরে সংবাদপত্রের অবস্থা খুব খারাপ। তারা ক্রোড়পত্র পায় না। কিন্তু পত্রিকার সার্কুলেশ নাই, এমন পত্রিকাকে ক্রোড়পত্র দেওয়া হয়। এর জন্য দীর্ঘদিন একটি সিন্ডিকেট গড়ে ওঠেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফেনীর পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী। প্রশিক্ষক শাহ আলম সৈকতের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ডেফোডিল ইউনিভার্সিটির গণসংযোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শেখ সফিউল ইসলাম, ফেনীর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলী হাসানসহ ফেনীতে কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সনদ তুলে দেন অতিথি ও আয়োজকরা।