X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

৪৯ বছর পেরিয়ে গেলেও অরক্ষিত ত্রিশ বধ্যভূমি

সালেহ টিটু, বরিশাল
০১ ডিসেম্বর ২০২০, ১৭:১৭আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০২০, ১৭:১৮

উজিরপুর উপজেলার বড়াকোঠা দরগা বাড়ি বধ্যভূমি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ আর বিভীষিকা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বরিশাল জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। রাজাকার, আলবদর, আল শামস ও শান্তিবাহিনীর চক্রান্ত ও মন্ত্রণায় হাজার হাজার নিরীহ বাঙালিকে হত্যা করা হয়েছিল এখানে। এরপর নিরীহ গ্রামবাসীদের মরদেহ ফেলে দেওয়া হয় নদী, খাল থেকে শুরু করে কুয়া ও ভাগাড়ে। গণহত্যার পর মাটি চাপা দেওয়া হয় মরদেহ। গবেষণা তথ্য অনুযায়ী, জেলার ৩৩টি বধ্যভূমিতে ৫০ হাজারের অধিক লোক গণহত্যার শিকার হন। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৯ বছর পেরিয়ে গেলেও দুঃখজনক ঘটনা হচ্ছে বরিশাল জেলার ৯ উপজেলার ৩৩টি বধ্যভূমির ৩০টিই  সংরক্ষণ করা হয়নি। এগুলোর মধ্যে কয়েকটি সংরক্ষণের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হলেও সেখানেই থমকে আছে এর কাজ। সরেজমিন খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, জেলার বেশিরভাগ বধ্যভূমিই অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। 

বরিশাল জেলা সদরে তিনটি, গৌরনদীতে চারটি, আগৈলঝাড়ায় ছয়টি, বাকেরগঞ্জে তিনটি, বানারীপাড়ায় পাঁচটি, বাবুগঞ্জে দুটি, উজিরপুরে পাঁচটি, মুলাদীতে দুটি, মেহেন্দীগঞ্জে তিনটিসহ ৩৩ বধ্যভূমির সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বরিশাল সদরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের  এলাকার ভেতরে থাকা বধ্যভূমিটি সংরক্ষণের কাজ চলছে। গৌরনদী উপজেলার কেতনার বিল এবং উজিরপুর উপজেলার দরগাহ বাড়ি বধ্যভূমিতে নির্মিত হচ্ছে স্মৃতিস্তম্ভ। 

বরিশাল জেলা মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার কেএসএ মহিউদ্দিন মানিক (বীর প্রতীক) বলেন, বরিশালে পাক হানাদার বাহিনী আসে ২৫ এপ্রিল। ওই দিন গানবোট ও হেলিকপ্টারে করে হানাদার বাহিনীর একাধিক গ্রুপ স্টিমারঘাট, বিসিক ও চরবাড়িয়া এলাকা থেকে শহরে প্রবেশ করে। ২৯ এপ্রিল পাক বাহিনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিপরীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াপদা কলোনি দখল করে একাধিক ভবনে ক্যাম্প ও টর্চার সেল স্থাপন করে। ওই ক্যাম্প থেকেই ঝালকাঠি, পটুয়াখালী ও ভোলায় অপারেশন চালাতো পাক বাহিনী। ক্যাম্প সংলগ্ন সাগরদী খালের তীরে ৩টি বাংকার তৈরি করে বসানো হয় পাহারা। টর্চার সেলে মুক্তিযোদ্ধাসহ সাধারণ নারী-পুরুষদের ধরে এনে ব্যানেট দিয়ে খুঁচিয়ে সারা শরীর রক্তাক্তের গুলি চালিয়ে হত্যা করে মরদেহ ফেলে দেওয়া হতো খালে। তবে ওয়াপদা ক্যাম্পে কত বাঙালি মুক্তিকামী নারী-পুরুষকে হত্যা ও নির্যাতন চালানো হয়েছে তার সুনির্দিষ্ট কোনও হিসেব নেই কারও কাছে। বর্তমানে এ বধ্যভূমিটি সংরক্ষণে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চলছে।

এছাড়া বরিশাল সদর উপজেলার তালতলী ও চরকাউয়া মোসলেম মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন খালের পাড় বধ্যভূমি সংরক্ষণে তেমন কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তালতলী বধ্যভূমিতে শুধুমাত্র একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করে কোনোভাবে দায়িত্ব শেষ করা হয়। চরকাউয়ায় কিছুই করা হয়নি। 

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আগৈলঝাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত বলেন, ১৯৭১ সালের ১৫ মে সেনাবাহিনী আসার খবরে গৌরনদী-আগৈলঝাড়ার কয়েক হাজার নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোর কেতনার বিলে আশ্রয় নেয়। ওইদিন আমিও বাবার সঙ্গে ওই বিলে আশ্রয় নেই। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাকসেনারা সেখানে পৌঁছে মেশিনগান দিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে পাখির মতো মানুষ মারতে থাকে। আমি প্রাণে বেঁচে গেলেও আমার বাবার শরীরে ৫টি গুলিবিদ্ধ হয়, তিনি মারা যান। একই সময় কেতনার বিলের পার্শ্ববর্তী কেষ্ট পাত্রের বাড়িতে পাক সেনারা প্রবেশ করে ওই বাড়ির ১৯ জনকে গুলি করে হত্যা করে। ওইদিন সমস্ত কেতনার বিল লাশের স্তুপে পরিণত হয়েছিল। অনেক লাশ শিয়াল, কুকুরে ছিঁড়ে খেয়েছে। পরদিন এলাকার অমূল্য পাত্র ও হরলাল পাত্রের নেতৃত্বে পাত্র বাড়ির বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি গর্ত করে মরদেহগুলো মাটি চাপা দেওয়া হয়। পাত্র বাড়ির শিশু ও মহিলাসহ ১৯ জনের মরদেহও একত্রে মাটি দেওয়া হয়। বহু মরদেহ কেতনার বিলেই পচে গলে নষ্ট হয়। কেতনার বিলকে দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি উল্লেখ করেন এ মুক্তিযোদ্ধা নেতা। 

বরিশাল সদর উপজেলার তালতলী বধ্যভূমি

আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রকৌশলী রাজকুমার গাইন বলেন, কেতনার বিল বধ্যভূমিতে ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজ চলছে। দুর্গম এলাকা হওয়ায় কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নির্মাণ কাজ শেষ করে এটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। 

আগৈলঝাড়া উপজেলায় রাজিহার ফ্রান্সিস হালদারের বাড়ি, পতিহার, দক্ষিণ শিহিপাশা উপজেলার কাঠিরা ব্যাপ্টিস্ট চার্চ সংলগ্ন রাজিহার রাংতা বিল বধ্যভূমিও অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে। 

গৌরনদীর একাধিক মুক্তিযোদ্ধা জানান, ’৭১ সালের ১৫ মে পাকসেনাদের আসার খবর পেয়ে বাটাজোর ইউনিয়নের হরহর মৌজার (নন্দিপাড়ার) বাড়ৈ বাড়ির পাশ্ববর্তী জলাভুমিতে প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয় নিয়েছিল শত শত নারী-পুরুষ ও শিশু। কিন্তু নরপশুদের কবল থেকে সেদিন কেউই রেহাই পাননি। ওইদিন সকালে পাকবাহিনী পাশের আধুনা গ্রামে হামলা চালায়। তারা ওই গ্রামের বহু নিরীহ মানুষকে গুলি করে হত্যা করে ও অসংখ্য বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়। মিলিটারি আসছে এ খবর পেয়ে সকাল থেকে নন্দিপাড়ার প্রায় ৪ শতাধিক লোক (মরার ভিটায়) নন্দীপাড়ার নির্জন জঙ্গল ও শুকনা জলাশয়ের মধ্যে আশ্রয় নেয়। পাকসেনাদের এলোপাথাড়ি গুলিতে সেদিন ১৩৫ জন নিরাপরাধ মানুষ প্রাণ হারান।

এছাড়া উপজেলার সহকারী পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে, গয়নাঘাটাপুল সরকারি গৌরনদী কলেজ সংলগ্ন হাতেম পিয়নের বাড়ির সামনের ঘাটলা বধ্যভূমি হিসেবে চিহ্নিত হলেও আজও ওই সকল স্থান সংরক্ষণে কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। 

বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হান্নান বাদশা জানান, বাকেরগঞ্জের কলসকাঠীতে ১৪ মে ২৮০ জনকে পাশবিক অত্যাচারের মাধ্যমে হত্যা, বহু নারীর ইজ্জত হরণ এবং কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যায়। শত শত বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে। সর্বশেষ পাক হানাদার বাহিনী আক্রমণ করে শ্যামপুর মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্পে ক্যাপ্টেন নাসিরের ঘাঁটিতে। ১৫ নভেম্বর যাত্রীবাহী লঞ্চে করে বরিশাল থেকে অতিরিক্ত পাকবাহিনীর দল আসে। এরপর শ্যামপুর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প আক্রমণে অনেক পাক হানাদার বাহিনী মারা যায় এবং ১২ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। 

এছাড়া বেবাজ এলাকায় পাক হানাদার বাহিনীর আক্রমণে অনেক শহীদ হন। কলসকাঠীতে ব্যক্তি উদ্যোগে স্মৃতিফলক নির্মিত হলেও আর দুই জায়গা রয়েছে অরক্ষিত। ওই সময় কলসকাঠী বধ্যভূমিতে ৪ শতাধিক, বেবাজ বধ্যভূমিতে ২ শতাধিক এবং শ্যামপুর বধ্যভূমিতে ৩০ থেকে ৪০ জনকে হত্যা করা হয় বলে জানা গেছে। 

বাবুগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিম হাওলাদার জানান, ১৯৭১ সালে বরিশাল ক্যাডেট কলেজে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের ঘাঁটি স্থাপন করে। ক্যাডেট কলেজে তৎকালীন ওই আর্মি ক্যাম্পের পেছন দিকে প্রতাবপুর এলাকায় ছিল তাদের বিভীষিকাময় টর্চার সেল। সেখানে ৯ মাসের যুদ্ধকালীন সময়ে বাবুগঞ্জ ও আশেপাশের উপজেলা থেকে বিপুল সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধাসহ তাদের সহায়তাকারী ও বুদ্ধিজীবীদের ধরে এনে নির্মম নির্যাতনের পর নৃশংসভাবে হত্যা করা হতো। প্রতাবপুর বধ্যভূমিতে মুক্তিযোদ্ধা ও বুদ্ধিজীবীসহ বহু নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়। অক্টোবর মাসের একদিনেই ধরে আনা শতাধিক মানুষকে লাইনে দাঁড় করিয়ে প্রথমে ব্রাসফায়ার এবং পরে বেয়নেট দিয়ে পেট কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ওই বধ্যভূমি আজও সংরক্ষণ হয়নি। এ উপজেলার রামপট্টিতে আরেকটি বধ্যভূমি রয়েছে। সেটিও সংরক্ষণ হয়নি। 

আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ফ্রান্সিস হালদারের বাড়ি বধ্যভূমি বানারীপাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গোলাম সালেহ মঞ্জু মোল্লা বলেন, ২০১০ সালে বানারীপাড়া সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ গাভা-নরেরকাঠি ও সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের তালা প্রসাদ গ্রামে দুটি বধ্যভূমির সন্ধান পাওয়া যায়। এ দুটি গণকবরে রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে নৃশংসভাবে নিহত ৯৮ শিশু, নারী ও পুরুষের মরদেহ মাটিচাপা দেওয়া হয়। যার মধ্যে বধ্যভূমি অনুসন্ধানে নিয়োজিত তদন্তকারী পুলিশ প্রশাসন এ পর্যন্ত ৪৫ জনের নাম-পরিচয় শনাক্ত করতে পেরেছে। জঙ্গলঘেরা ঝোপঝাঁড়ের মধ্যে বধ্যভূমি দুটি অযত্ন-অবহেলায় অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের দুর্গম গ্রাম গাভা ও নরেরকাঠির সীমান্তবর্তী খালের উত্তরপাড়ে রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে নিহত শতাধিক লাশের মধ্যে ৯৫টি মরদেহ মাটিচাপা দেওয়া হয়। 

উজিরপুর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর হাকিম জানান, বড়াকোঠা দরগাবাড়ি বধ্যভূমিতে শতাধিক লোককে নির্বিচারে হত্যা করে পাক বাহিনী। উত্তর বড়াকোঠা মল্লিক বাড়ি বধ্যভূমিতে চলে গণহত্যা। বড়াকোঠা মুক্তিযুদ্ধের মিলন কেন্দ্র সংলগ্ন বধ্যভূমি সেখানে গণহত্যা করা হয়েছিল অর্ধশত ব্যক্তিকে। খাটিয়ালপাড়া বধ্যভূমিতে গণহত্যার শিকার হন ১৫ থেকে ২০ জন। বড়াকোঠা চন্দ্র কান্ত হালদার বাড়ি বধ্যভূমিতে পাক হানাদার বাহিনী ১০ জনকে হত্যা করে। নারায়ণপুর বধ্যভূমিতে গণহত্যা করা হয় অর্ধ শতাধিক ব্যক্তিকে।

মুলাদীর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, পাতারচর গ্রাম বধ্যভূমিতে অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। মুলাদী নদীর দক্ষিণপাড় বেলতলা বধ্যভূমিতে কমপক্ষে ২০ জনকে হত্যা করে পাক সেনারা। 

মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা জানিয়েছেন, থানা সংলগ্ন বধ্যভূমিতে তিন শতাধিক ব্যক্তিকে একসঙ্গে হত্যা করা হয়। পাতারহাট গার্লস স্কুলের দক্ষিণপাড়ের খলিল মোল্লার বাড়ির বধ্যভূমিতে ১০ থেকে ১২ জন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়। পাতারহাট গার্লস স্কুল সংলগ্ন ব্রিজের গোড়ার বধ্যভূমিতে গণহত্যার শিকার হন শতাধিক ব্যক্তি। 

বরিশাল অঞ্চলের ‘জেনোসাইড স্টাডিজ’ প্রকল্পের গবেষক সুশান্ত ঘোষ বলেন, বরিশাল নগরী থেকে শুরু করে নয় উপজেলায় ৩৩ বধ্যভূমির সন্ধান পাওয়া গেছে। ওই সকল বধ্যভূমিতে নিহতের সংখ্যা কত তা নিরূপণ করা মুশকিল। তবে আমাদের পরিসংখ্যানে উঠেছে এসেছে ওই ৩৩ বধ্যভূমিতে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ গণহত্যার শিকার হয়েছে। 

এ ব্যাপারে বরিশাল জেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ কুতুব উদ্দিন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে কাজ চলছে। ইতোমধ্যে বরিশাল নগরীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের এলাকার মধ্যে পড়া বধ্যভূমিটি সংস্কার করে সেখানকার আধুনিকায়নের কাজ এগিয়ে চলছে। জেলার উজিরপুর ও আগৈলঝাড়ায় বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে জেলার সকল বধ্যভূমি সংস্কার করে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ধরে রাখা হবে। শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা তাদের সম্মানের জায়গা অবশ্যই পাবেন। 

বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ করার জন্য যাবতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যাচাই বাছাই করে শহীদদের নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের স্বীকৃতি সরকার গ্রহণ করেছে। জেলা প্রশাসন সেটা সংরক্ষণের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। 

মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ আক্ষেপ করে বলেছেন, বিজয়ের দিন আসলেই আমরা শহীদদের কথা মনে করি। শুধু একটি দিনের মধ্যে এদের স্মরণ করা দুঃখজনক। যাদের জন্য আমরা লাল-সবুজের পতাকা পেয়েছি, পেয়েছি স্বাধীন একটি রাষ্ট্র তাদেরকে সব সময় স্মরণে রাখতে হবে। তাদের স্মৃতি ধরে রাখতে বধ্যভূমি সংরক্ষণ অতি জরুরি বলে মনে করেন তারা। 

/আরআইজে/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ফরিদপুরে দুই শ্রমিক হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে খেলাফত মজলিসের মিছিল
ফরিদপুরে দুই শ্রমিক হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে খেলাফত মজলিসের মিছিল
মশা তাড়ানোর ৫ প্রাকৃতিক উপায়
মশা তাড়ানোর ৫ প্রাকৃতিক উপায়
মেলা থেকে অস্ত্রের মুখে দুই নারীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ
মেলা থেকে অস্ত্রের মুখে দুই নারীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ
তীব্র গরমে সিল্কসিটি ট্রেনে আগুন
তীব্র গরমে সিল্কসিটি ট্রেনে আগুন
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!