X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

স্বাধীনতার ৪৯ বছরেও অরক্ষিত অবস্থায় পঞ্চগড়ের গণকবর ও বধ্যভূমি

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
০৫ ডিসেম্বর ২০২০, ০৯:০০আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২০, ০৯:০০

 

অযত্ন, অবহেলা, অবৈধ দখল আর সংরক্ষণের অভাবে জেলার বধ্যভূমি ও গণকবরগুলো নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন স্থানে হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীর নির্যাতন ও গণহত্যার অসংখ্য চিহ্ন ছড়িয়ে রয়েছে। তবে অযত্ন, অবহেলা, অবৈধ দখল আর সংরক্ষণের অভাবে জেলার বধ্যভূমি ও গণকবরগুলো নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতার ৪৯ বছর পেরিয়ে গেলেও এসব স্থান সংরক্ষণে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। নেই কোনও স্মৃতিসৌধ বা সমাধিচিহ্ন। জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কাছে জেলায় কতগুলো বধ্যভূমি, গণকবর রয়েছে তার সঠিক তথ্যও পাওয়া যায়নি। এতে মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ, ইতিহাস বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের অজানাই থেকে যাচ্ছে।

মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে বধ্যভূমি ও গণকবরগুলো চিহ্নিত করে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

দুই-একটিতে সরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে স্মৃতিফলক স্থাপন করা হয়েছে সরেজমিন কয়েকটি বধ্যভূমি ও গণকবর এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে দুই-একটিতে সরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে স্মৃতিফলক স্থাপন করা হয়েছে। তবে এগুলো অধিকাংশই নিশ্চিহ্ন হওয়ার উপক্রম। অনেকগুলো দেখে বোঝার উপায় নেই, তা বধ্যভূমি। কিছু কিছু বধ্যভূমির চারপাশে এখন ময়লার স্তুপ। কোনও কোনও বধ্যভূমির ওপর নির্মিত হয়েছে ভবন। লাগানো হয়েছে বাঁশঝাড়, গাছপালা, করা হচ্ছে চাষাবাদ। যে কয়েকটি স্মৃতিফলক লাগানো হয়েছে সেগুলোর অবস্থাও জরাজীর্ণ। কোথাও নামফলক নেই, কোথাও পলেস্তার পড়ে গেছে আবার কোথাও টাইলস ভেঙে গেছে। আগাছায় ভরে গেছে বধ্যভূমির চারপাশ।

জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পঞ্চগড় জেলা দখল করে আক্রমণ শুরু করে। হানাদার বাহিনী পঞ্চগড় জেলা পরিষদ ডাকবাংলো, সুগারমিল মাঠসহ বিভিন্নস্থানে ক্যাম্প স্থাপন করে এই অঞ্চলে ব্যাপকভাবে লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ, নারী নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালায়। এদিকে মুক্তিযোদ্ধারা অমরখানা এলাকায় চাওয়াই নদীর ওপর ব্রিজ গুড়িয়ে দেওয়ায় পাকিস্তানি সেনারা তেঁতুলিয়া উপজেলায় প্রবেশ করতে পারেনি। ফলে গোটা মুক্তিযুদ্ধ সময় তেঁতুলিয়া উপজেলা ছিল মুক্তাঞ্চল।

সীমানা প্রাচীর না থাকায় বধ্যভূমিগুলো অবাধ বিচরণ সবার গণহত্যা-বধ্যভূমি ও গণকবর জরিপ গ্রন্থ সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চগড় জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে পর্যাপ্ত গবেষণা হয়নি। পঞ্চগড় জেলা ইতিহাস ও লোকসংস্কৃতি গ্রন্থে ড. নাজমুল হক (পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ) ১০টি গণহত্যা, ৭টি গণকবরের এবং মুক্তিযুদ্ধের কিশোর ইতিহাস: পঞ্চগড় জেলা গ্রন্থে শফিকুল ইসলাম (তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ) ১৯টি বধ্যভূমি ও গণকবরের বর্ণনা দিয়েছেন।

তবে সম্প্রতি গণহত্যা-বধ্যভূমি ও গণকবর জরিপে পঞ্চগড় জেলায় ৪টি বধ্যভূমি, ১৭টি গণকবর, ৬৪৯টি গণহত্যা, ২৩টি নির্যাতন কেন্দ্র রয়েছে বলে জানা গেছে।

গণহত্যা-বধ্যভূমি ও গণকবর জরিপ গ্রন্থের লেখক দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আলী ছায়েদ বলেন, বোদা উপজেলার পাঁচপীর ইউনিয়নের ধাপধুপ বিল জেলার মধ্যে বৃহৎ বধ্যভূমি। এখানে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়। ঘরবাড়ি ছেড়ে ভারতে যাওয়ার পথে হানাদার বাহিনীর দোসর রাজাকাররা তাদের ধরে এনে সেখানে নিয়ে নারীদের আলাদা করে। পরে পুরুষদের বেয়নেট দিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। নারীদের ওপর চালানো হয় পাশবিক নির্যাতন। পঞ্চগড় সদর উপজেলার ডাকবাংলোর পাশে ও করতোয়া নদীর ধারে এবং থানার পেছনে শত শত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এটিই জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম বধ্যভূমি। এছাড়া রামেরডাঙ্গা বধ্যভূমিতেও অনেককে হত্যা করা হয়। চতুর্থ বধ্যভূমিটি হল জেলার আটোয়ারী উপজেলার ডাঙ্গীরহাট বধ্যভূমি। আরও বধ্যভূমি থাকতে পারে তবে আমরা খোঁজ পাইনি।

তিনি আরও বলেন, আমরা গোটা জেলায় ১৭টি গণকবর ও ৬৪৯টি গণহত্যা, ২৩টি নির্যাতন কেন্দ্র চিহ্নিত করতে পেরেছি। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- বোদা উপজেলার মাড়েয়া, কালিয়াগঞ্জ পানিডুবি, নয়াদিঘী বাজার, বোদা বাসস্ট্যান্ড, খাটিলামনি ব্রিজ, রাজারদিঘীর পাড়। আটোয়ারী উপজেলার পুরনাদিঘী (দাঁড়িয়ার দিঘী), রাধানগর, তোড়িয়া, ফকিরগঞ্জ বাজার, ওয়াপদা, বড়সিংগিয়ার মেনকাপাড়া, সুকাতি, বামনকুমার, নলপুকুরী, লক্ষ্মীপুর। দেবীগঞ্জ উপজেলার পারঘাট, ডিয়াগাড়ি, রাঙ্গাপানি, পামুলী, শান্তিরহাট, এনএন হাইস্কুল, বলদিয়াধাম, নতুনবন্দর, সমিতিরডাঙ্গা। পঞ্চগড় সদর উপজেলার পঞ্চগড় থানাচত্বর, অমরখানা, মিঠাপুকুর, টোকাপাড়া, লইপাড়া, ডাঙ্গাপাড়া, লাঙ্গলগাঁও, পঞ্চগড় ব্রিজ, পঞ্চগড় বাজার, বানিয়াপাড়া, হাড়িভাসা, মিরগড়, দুইপাড়া, সাতমেরা বকসিগঞ্জ, সুগারমিল, গরিনাবাড়ি, কাজীপাড়া, বোর্ড অফিস। এসব স্থানে গণহত্যার সঠিক পরিমাণ জানা না গেলেও পাঁচ জন থেকে চার-পাঁচশ’ মানুষকে হত্যা করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় ২৩টি নির্যাতন কেন্দ্রের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা, নারী ও সাধারণ মানুষকে নির্যাতন করা হতো।

স্বাধীনতার ৪৯ বছরেও অরক্ষিত অবস্থায় পঞ্চগড়ের গণকবর ও বধ্যভূমি আবু ছায়েদ আরও বলেন, সংস্কার, সংরক্ষণ বা রক্ষণাবেক্ষণের অভাব ও সীমানা প্রাচীর না থাকায় গরু-ছাগল, বিভিন্ন প্রাণী ও ভবঘুরে মানুষ এগুলোতে অবাধে প্রবেশ করছে। আবার কেউ কেউ বধ্যভূমি ও গণকবরগুলোর আশপাশের স্থান ধানশুকানোসহ নানা কাজে ব্যবহার করছে।

জেলার আটোয়ারী উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের বড়সিংগিয়া মেনকাপাড়া এলাকার কলেজছাত্র আল মামুন বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধও দেখিনি, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে সঠিকভাবে জানিও না। আমাদের এলাকায় কোথায় বধ্যভূমি আছে, কোথায় গণকবর আছে সেগুলো আমরা জানি না। বর্তমান সরকার যদি বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণ করে, তাহলে আমরা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারবো।

পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের ডাঙ্গীরহাট এলাকার প্রবীণ ব্যক্তি ডা. বসিরউদ্দিন জানান, যুদ্ধের শুরু থেকেই এখানে নির্যাতন ও হত্যা করা হতো। যুদ্ধের সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে অসংখ্য লোকজনকে ধরে এনে হত্যা করা হতো। এখানে প্রথমে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন লোককে হত্যা করা হয়েছিল।

একই এলাকার মো. রেজাউল করিম বলেন, আমার বুধু ও কছিমউদ্দিন নামে দুই দাদাকে চোখ বেঁধে এনে এখানে হত্যা করা হয়েছিল। এখানে আরও অনেক লোককে ধরে এনে হত্যা করা হয়েছিল। এই ডাঙ্গীরহাট বধ্যভূমিতে দেশের জন্য এখানে অনেক লোক জীবন দিয়েছেন ও শহীদ হয়েছেন। বর্তমানে এ স্থানটি ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এ স্থানটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখলে শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে বলে মনে করি। 

পঞ্চগড়ের লেখক ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক অধ্যাপক মো. নুরুল হুদা জানান, পঞ্চগড়ে ১৭-১৮টি বধ্যভূমি ও গণকবর চিহ্নিত করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আমরা স্মৃতিফলক স্থাপন করেছি। এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা দরকার এবং অন্যান্য স্থানগুলো চিহ্নিত করে স্মৃতিফলক স্থাপন করা প্রয়োজন। পঞ্চগড়ের যে বধ্যভূমি ও গণকবরগুলো রয়েছে এ ঘটনাগুলোর বৈশিষ্ট্যগুলো অন্যরকম। খুব নির্মম ও পৈশাচিকভাবে এখানে মানুষকে হত্যা করা হয়। এখানকার অনেক ঘটনাই এখনও চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। এসব সম্পন্ন করা সম্ভব হলে বর্তমান প্রজন্ম আগামী প্রজন্ম তথা সর্বস্তরের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে এবং তাদের মধ্যে চেতনাবোধের উপলব্ধি সৃষ্টি হবে।

দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রত্যয় হাসান জানান, দেবীগঞ্জ উপজেলার করতোয়া নদীর কাছে পারঘাট পাড়ায় পাকিস্তানি সেনারা গুলি করে ১১ জন নিরীহ বাঙালিকে নির্মমভাবে হত্যা করে। সেখানে আমরা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে একটি স্মৃতিফলক স্থাপন করেছি। আমরা চাই আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন হানাদার বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের কাহিনী ভুলে না যায়। তাদের হৃদয় থেকে যেন মুছে না যায়, ৩০ লাখ বাঙালির রক্তের বিনিময়ে ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা আমরা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ধাবিত করতে চাই। এজন্য আমরা সেখানে একটি স্মৃতিফলক স্থাপন করেছি।

বোদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সলেমান আলী জানান, জেলার বোদা উপজেলার পাঁচপীর ইউনিয়নের ধাপধুপ বিলটি জেলার সবচেয়ে বৃহৎ বধ্যভূমি। পঞ্চগড়ের সাবেক জেলা প্রশাসক বনমালী ভৌমিক সেখানে একটি স্মৃতিফলক নির্মাণ করেন। বধ্যভূমির ওই জমিটি ব্যক্তি মালিকানাধীন। এ কারণে আমরা পরবর্তীতে কোনও অগ্রগতি করতে পারিনি। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকারিভাবে জমি অধিগ্রহণ করার একটি প্রস্তাবনা আমরা পাঠিয়েছি। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত মতামত পেলে স্থানীয় লোকজনদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ভবিষ্যতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান জানান, আটোয়ারী উপজেলার দুটি বধ্যভূমি ও গণকবরে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের প্রকল্প চূড়ান্ত হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর-এলজিইডি স্মৃতিসৌধগুলো নির্মাণ করবে। নান্দনিক মডেলের এসব স্মৃতিসৌধ নির্মাণ শেষ হলে ভবিষ্যত প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে পারবে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর-এলজিইডির আটোয়ারী উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকিউল আলম বলেন, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে আটোয়ারী উপজেলার রাধানগর মালেহা গ্রাম ও মির্জাপুর পুরণা দিঘীরপাড় গণকবর এলাকায় দুটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হবে। আগামী জুন মাসের মধ্যে এসব নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

 বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পঞ্চগড় জেলা ইউনিটের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার এম আলাউদ্দিন প্রধান জানান, নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেক কিছুই জানে না। কেন মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, কি জন্য হয়েছিল, কেন আমরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম তাদের এসব ইতিহাস জানা প্রয়োজন। ইতিহাস অনেক বিকৃত হয়েছে। জেলায় যুদ্ধের সময়ের বধ্যভূমিসহ মুক্তিযুদ্ধর স্মৃতিবিজড়িত ঘটনাগুলোসহ দেশব্যাপী যুদ্ধের সব ইতিহাস পাঠ্যবইয়ে থাকা উচিত। পঞ্চগড়ের যুদ্ধের ইতিহাস ধরে রাখতে স্থানীয় প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সরকারের এগিয়ে আসা উচিত। নতুন প্রজন্মের কাছে এসব তুলে ধরতে এটি অপরিহার্য। পঞ্চগড় জেলার বধ্যভূমি, গণকবর ও নির্যাতনকেন্দ্রগুলো যথাযথ সংরক্ষণ করা দরকার। শহীদদের এসব স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণ করা হলে বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্ম সমৃদ্ধ হবে। 

 

 

 

/টিটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ট্রেনের ৪৫ হাজার টিকিট কিনতে দেড় কোটির বেশি হিট
ট্রেনের ৪৫ হাজার টিকিট কিনতে দেড় কোটির বেশি হিট
নোয়াখালীতে সনি স্মার্ট-এর শোরুম উদ্বোধন
নোয়াখালীতে সনি স্মার্ট-এর শোরুম উদ্বোধন
তাইওয়ানে সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি যুক্তরাষ্ট্রের
তাইওয়ানে সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি যুক্তরাষ্ট্রের
নারীবান্ধব টয়লেট সুবিধা পান না ৯৩ শতাংশ নারী
জরিপের তথ্যনারীবান্ধব টয়লেট সুবিধা পান না ৯৩ শতাংশ নারী
সর্বাধিক পঠিত
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের