যশোর সদরের বিরামপুকুর মহাশশ্মানে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকা দুই যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহত দুই যুবক হলেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌর ছাত্র শিবিরের সভাপতি আবুজার গিফারি ও ছাত্র শিবির নেতা শামীম মাহমুদ। আবুজার গিফারির চাচাত ভাই নান্নু মিয়া ও শামীমের মামা ইমরান হোসেন তাদের লাশ সনাক্ত করেছেন।
এছাড়া শিবির পরিচালিত “আমি পরাধীন” নামক একটি ফেসবুক আইডি থেকে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
গত ১৮ মার্চ দুপুরে চাপালী গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে আবুজার গিফারি ও ২৫ মার্চ বিকালে কালীগঞ্জ কলেজ রোড থেকে শামীম মাহমুদকে সাদা পোশাকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। আবুজার গিফারি যশোর এমএম কলেজের বাংলা অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও কালীগঞ্জ পৌর এলাকার চাপালী গ্রামে নুর ইসলামের ছেলে এবং শামীম মাহমুদ ঝিনাইদহ সরকারি কেসি কলেজের স্নাতক ব্যবস্থাপনা বিভঅগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও বাকুলিয়া গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে। এরপর থেকে তাদের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ঘটনায় গিফারি পরিবার ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনসহ থানায় জিডির আবেদন করেন। শামীমের পরিবারও পৃথকভাবে জিডির আবেদন করেন।
আরও পড়তে পারেন: যশোরে অজ্ঞাত দুই যুবকের লাশ উদ্ধার
গিফারি নিখোঁজের ২৬ দিন ও শামীমের নিখোঁজের ১৯ দিন পর তাদের মাথায় গুলিবিদ্ধ লাশ যশোর সদর উপজেলার বিরামপুকুর মহাশশ্মানে পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় গত ২৯ মার্চ শিবির পরিচালিত আমি পরাধীন নামক ফেসবুক আইডিতে পুলিশের প্রতি বিদ্বেষ প্রকাশ করে বিবৃতি দেন শিবির নেতারা।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, তাদের নিখোঁজের ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানায় কোনও জিডি হয়নি।
/বিটি/