রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যার প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে আজও উত্তাল ক্যাম্পাস। বুধবার বেলা পৌনে ১১টা থেকে ১১টা ২০ মিনিট পর্যন্ত ঢাকা-রাজশাহী সড়ক অবরোধ করে রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। অবরোধ শেষে শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় শহীদুল্লাহ কলা ভবনের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে। মঙ্গলবারও প্রায় এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, ইংরেজি বিভাগ থেকে বলা হয়েছে ক্লাস ও আন্দোলন এক সঙ্গে চলবে। ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আন্দোলনের পাশাপাশি ক্লাসও নেওয়া হবে।
এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিভাগের ব্যানারে ওই মিছিলে যোগ দেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধন ফটকে গিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে।
মিছিলে তারা ‘জাগো জাগো, মানুষ জাগো’, ‘আমার শিক্ষক মাটিতে কেন, প্রশাসন বিচার চাই’, ‘পিতার গায়ে রক্ত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘সন্ত্রাস-হামলা যেখানে, লড়াই করবো সেখানে’, ‘জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
এদিকে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনদিন ক্লাস বর্জন কর্মসূচি পালনের পর মঙ্গলবার থেকে সবাইকে ক্লাসে ফেরার আহ্বান জানিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। কিন্তু শিক্ষকদের সেই আহ্বানে সাড়া না দিয়ে ক্লাস ছেড়ে রাস্তায় নামেন হাজারো শিক্ষার্থী।
শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজশাহী নগরের শালবাগান এলাকায় অধ্যাপক রেজাউল করিমকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ওই দিন দুপুর ১২টা থেকে সোমবার পর্যন্ত সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বিরত থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতার করতে সাত দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এই সাত দিনে মামলার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হলে পুনরায় কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছে শিক্ষক সমিতি।
আরও পড়ুন:
নাতনিকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করে প্রাণ হারালেন নানা