X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

‘কাফন পরতে, কফিনে শুতে আসিনি’

রাবি প্রতিনিধি
২২ অক্টোবর ২০১৬, ১৫:৪২আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০১৬, ১৬:০৯





রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক আব্দুলাহীল বাকী বলেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ লিপুর মৃত্যুর পর কাফনের কাপড় ও একটি কফিন দিয়েছে। মনে হচ্ছে তারা কাফন, কফিন আগে থেকেই প্রস্তুত করে রেখেছিল। আমরা কাফন পরতে, কফিনে শুতে আসিনি। আমরা হত্যাকাণ্ড বন্ধের প্রস্তুতি দেখতে এসেছি।’ ‘কাফন পরতে, কফিনে শুতে আসিনি’
শনিবার বেলা ১১টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোতালেব হোসেন লিপুর হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় মানববন্ধনে ঝিনাইদহ জেলা সমিতি ও কুষ্টিয়া জেলা সমিতি যোগ দেয়।
আব্দুলাহীল বাকী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের সীমানায় নিরাপদ নয়। হলের মতো নিরাপদ জায়গায় শিক্ষার্থীরা খুন হচ্ছে। আমার জানা মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত যতগুলো হত্যা হয়েছে তার একটিরও বিচার হয়নি। হত্যাকারীরা এ ক্যাম্পাসকে খুন করার উপযুক্ত জায়গা হিসেবে বেছে নিয়েছে।’
মানববন্ধনে বিভাগের সভাপতি ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে বলেন, ‘আমাদের বারবার এখানে দাঁড়াতে হয়। একবার শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের জন্য, আবার শিক্ষার্থী হত্যাকাণ্ডের জন্য। আমাদের এক শিক্ষার্থীকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, যদি প্রশাসন সচেষ্ট হয় তাহলে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে বের করতে পারে। আমি এই বিভাগের পক্ষ থেকে এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত চাই। বিচার দেখতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছেও আমার দাবি, যদি এই ঘটনাগুলো ঘটতেই থাকে তাহলে কেউ নিরাপদ নয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার চত্বরকে আর রক্তপুরী দেখতে চাই না। আমরা চাই না, এভাবে আবারও মানববন্ধনে দাঁড়াতে।’
হত্যাকারীদের শাস্তির দাবি করে বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আতিক সাদ্দাম বলেন, ‘প্রশাসন এখন শিক্ষার পাশাপাশি আমাদের লাশ উপহার দিচ্ছে। বাবা-মা আমাদের পড়ালেখার জন্য পাঠায় লাশ হয়ে ফেরার জন্য নয়।’
চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সজীব বলেন, ‘আমার ভাইয়ের লাশ তার মায়ের কোলে তুলে দিয়ে এসেছি। আর কত মায়ের স্বপ্নভঙ্গ করে তার মায়ের কোলে তুলে দিতে হবে?’
বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাশেদ রিন্টু বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা আবাসিক হল। আর সেখানে শিক্ষার্থীরা খুন হচ্ছে। আমি লিপুর মায়ের কাছে কোনও উত্তর দিতে পারিনি। তার মা আমাকে বলেছিল, ‘তোমরা এর বিচার করো বাবা, বিচার করো।’ আমরা বিচার চাই, বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। আমরা আর কোনও মায়ের বুক খালি হতে দেব না।”
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে সামনে লিপু হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে ঝিনাইদহ জেলা সমিতি।
প্রসঙ্গত, গত ২০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার নবাব আব্দুল লতিফ হলের ডাইনিংয়ের ড্রেন থেকে লিপুর লাশ উদ্ধার করা হয়। আলামত দেখে প্রাথমিকভাবে পুলিশ হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করে। ওইদিন লিপুর চাচা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
/এআর/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে সকার স্কুলের বাছাইয়ে ৩ বাংলাদেশি কিশোর
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে সকার স্কুলের বাছাইয়ে ৩ বাংলাদেশি কিশোর
দীর্ঘ অপেক্ষার পর ঢাকায় স্বস্তির বৃষ্টি, কমলো তাপমাত্রা
দীর্ঘ অপেক্ষার পর ঢাকায় স্বস্তির বৃষ্টি, কমলো তাপমাত্রা
রোমাঞ্চকর ম্যাচে ১ রানের নাটকীয় জয় হায়দরাবাদের 
রোমাঞ্চকর ম্যাচে ১ রানের নাটকীয় জয় হায়দরাবাদের 
মামুনুল হকের জন্য কাশিমপুর কারাগারের সামনে ভক্তদের ভিড়
মামুনুল হকের জন্য কাশিমপুর কারাগারের সামনে ভক্তদের ভিড়
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা