X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

নাটোরে শিলা বৃষ্টিতে ১৭ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত

নাটোর প্রতিনিধি
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:৫৮আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:৪১

শিলাবৃষ্টি

 

ফাল্গুনের শুরুতে হঠাৎ শিলা বৃষ্টি হওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রবিবার ভোরে এ শিলাবৃষ্টি হয়। শিলা বৃষ্টির কারণে নাটোরের প্রায় ১৭ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, ভোর পাঁচটা থেকে শুরু হওয়া শিলাবৃষ্টিতে জেলার সিংড়া, সদর এবং নলডাঙ্গা উপজেলার কৃষকদের বেশি ক্ষতি হয়েছে।

তিনি জানান, মাঠ জরিপের ফলাফল অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে ১৬৯৫৪ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এছাড়া ক্ষতির মুখে পড়েছে ২৭৭৪ হেক্টর জমি। ক্ষতি হওয়া শস্যের মধ্যে রয়েছে ভুট্টা, গম, মসুর, খেসারি, রসুন, সরিষা ও পান ছাড়াও বিভিন্ন ধরণের ফলের গাছ। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করতে দু-তিন দিন সময় লাগবে বলে তিনি জানান।

সরেজমিনে নাটোর সদর, সিংড়া এবং নলডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে সকাল দশটা পর্যন্ত শিলা দেখা গেছে। এসময় ফসলের ক্ষতি হওয়ায় অনেককেই কাঁদতে দেখা গেছে। অধিক ফলনের আশায় সময়ের আগেই অনেক কৃষক ঋণের টাকা নিয়ে চাষাবাদ করেছেন, কিন্তু শিলা বৃষ্টি তাদের সব আশা শেষ করে দিয়েছে বলে তারা জানান।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলার ভাটোদাড়া এলাকার কৃষক সালাম জানান, তিনি প্রায় ১ বিঘা জমিতে গম চাষ করেছিলেন। অধিক ফলনের আশায় নির্ধারিত সময়ের আগেই গমের বীজ বুনেছিলেন। শিলাবৃষ্টিতে পুরো ফসল নষ্ট হয়ে গেছে ।

সিংড়া উপজেলার দমদমা এলাকার কৃষক গোলাম জানান,‘তিনি প্রায় ১০ বিঘা জমিতে আম গাছ লাগিয়েছেন। প্রতিটি গাছেই অনেক মুকুল এসেছে। অকষ্মাৎ শিলাবৃষ্টিতে মুকুলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

নলডাঙ্গা উপজেলার বাসুদেবপুর চকপাড়া গ্রামের কৃষক জরিপ জানান, তিনি এক বিঘা দুই কাঠা জমিতে গম চাষাবাদ করেছিলেন। এছাড়াও ১ বিঘা জমিতে রসুন এবং ১০ কাঠা জমিতে পটলের চাষ করেছিলেন। সব ফসল নষ্ট করে দিয়েছে শিলা বৃষ্টি। ফসলের কাজে এ পর্যন্ত তার প্রায় ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

এক প্রশ্নের জবাবে জরিপ বলেন, ‘শিলাবৃষ্টিতে আমার চকপাড়ার পুরো বিলের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এই এলাকার সব কৃষকই ক্ষতি তালিকায় পড়েছেন।’

 

/জেবি/
সম্পর্কিত
উপজেলা নির্বাচনে পলকের হস্তক্ষেপ ঠেকাতে হাইকোর্টে রিট
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন অপহরণের শিকার সেই প্রার্থী
অবশেষে প্রার্থিতাই প্রত্যাহার করে নিলেন প্রতিমন্ত্রী পলকের শ্যালক
সর্বশেষ খবর
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
গাছশূন্য ২০ কিলোমিটার সড়ক, তাপপ্রবাহে পথচারীদের দুর্ভোগ
গাছশূন্য ২০ কিলোমিটার সড়ক, তাপপ্রবাহে পথচারীদের দুর্ভোগ
প্রথমবার মেজর লিগ সকারের প্লেয়ার অব দ্য মান্থ মেসি
প্রথমবার মেজর লিগ সকারের প্লেয়ার অব দ্য মান্থ মেসি
গাজায় নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়ে ১৪১
গাজায় নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়ে ১৪১
সর্বাধিক পঠিত
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ