বগুড়ার শাজাহানপুরের রাজারামপুর গ্রামে গার্মেন্টসকর্মী আলমগীর হোসেনকে (৩৩) ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বর্তমানে আওয়ামী লীগ কর্মী জুলকার নায়েম ও তার দুই ভাইসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। নিহতের ভাই মনিরুজ্জামান লিমন সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে শাজাহানপুর থানায় এ মামলা করেছেন। পুলিশ এ ঘটনায় এজাহার নামীয় রাফি মিয়াকে (২৪) গ্রেফতার করেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, গার্মেন্টসকর্মী আলমগীর শাজাহানপুর উপজেলার রাজারামপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাদের সঙ্গে জমি নিয়ে চাচাতো ভাই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জুলকার নায়েমদের বিরোধ চলছিল। ২৮ ডিসেম্বর শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে আলমগীর ওই বিরোধপূর্ণ জমিতে বাড়ি নির্মাণ কাজ তদারকি করছিলেন। এ সময় জুলকার নায়েমের নেতৃত্বে ১২টি মোটরসাইকেলে হেলমেট পড়া দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থলে এসে আলমগীরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় তাকে বাঁচাতে বাবা লুৎফর রহমান আকন্দ (৬০), বড় ভাই শাহীনুর রহমান (৪০) ও ছোট ভাই মনিরুজ্জামান লিমন (২৮) এগিয়ে এলে তাদের মারধর করে দুর্বৃত্তরা চলে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত চার জনকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সন্ধ্যার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলমগীর মারা যান।
শাজাহানপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, এজাহারে জমি নিয়ে বিরোধে হত্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জুলকার নায়েম, তার ভাই জাহাঙ্গীর আলম ও জাহিদুল ইসলামসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। পরে এজাহারভুক্ত উপজেলার দাড়িকামারী গ্রামের বাসিন্দা রাফিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।