বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে যমুনা ও বাঙালি নদীর পানি বাড়ছেই। যমুনা নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে শিমুলতাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে রয়েছেন। জরুরিভাবে ভাঙন ঠেকাতে না পারলে শিগগির বিদ্যালয় ভবন নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
স্থানীয়রা জানান, ১৯০৭ সালে সারিয়াকান্দির দুর্গম চরাঞ্চল চালুয়াবাড়ির শিমুলতাইড় গ্রামে বিদ্যালয়টি প্রথম স্থাপন করা হয়। ইতোমধ্যে বিদ্যালয়টি চারবার ভাঙনের কবলে পড়ে। বার বার ভাঙনের পর সর্বশেষ গত ২০০৮-০৯ অর্থবছরে প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে শিমুলতাইড় গ্রামে নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪৬ জন ও শিক্ষক রয়েছেন মাত্র তিনজন।
এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা জানান, গত বছর বিদ্যালয়ের সীমানা থেকে যমুনা নদী প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে ছিল। এ বছর ভাঙতে ভাঙতে নদী প্রায় কাছে চলে এসেছে। এরইমধ্যে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ নদীগর্ভে চলে গেছে। বিদ্যালয়টি ভাঙনের মুখে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ বিদ্যালয় ভবনটি রক্ষায় গড়িমসি করছেন। এ অবস্থায় পাঠদান চলায় শিক্ষার্থীরা রয়েছেন আতঙ্কে।
চালুয়াবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বাদশা জানান, ১৯৮৮ সালের বন্যায় এক কিলোমিটার দূরে থেকে বিদ্যালয়টি এখানে স্থানান্তর করা হয়। ভাঙন ঠেকানোর কাজ করতে পারলে এ বছর বিদ্যালয়টি রক্ষা করা যেতো।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিরিন আকতার জানান, ভাঙনের বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও সহকারী শিক্ষা অফিসারকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার গোলাম কবির বলেন, বিদ্যালয়টি ভাঙনের কবলে পড়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সংসদ সদস্যকে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সবুজ কুমার বসাক জানান, খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।