আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা। তিনি বলেন, ‘দেশে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের নজির রয়েছে। আগের জাতীয় নির্বাচনে যেহেতু সেনাবাহিনী মোতায়েন ছিল, সেহেতু এবারও সেনাবাহিনী মোতায়েনের সম্ভাবনা আছে। আমরা সেনাবাহিনী মোতায়েনের কথা ভাবছি। তবে এখনও এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। পরিস্থিতি বিবেচনায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজশাহী, নাটোর, পাবনা, চাঁপাইবনাবগঞ্জ জেলায় দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ বৈঠকের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন। এতে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান, রাজশাহীর পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ এবং রাজশাহী, নাটোর, পাবনা, চাঁপাইবনাবগঞ্জ জেলার রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা।
বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে শিডিউল পরিবর্তন করা হবে উল্লেখ করে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘বিএনপি চাইলে এখনও নির্বাচনে আসতে পারে। তবে নির্বাচনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আসতে হবে। বিএনপি নির্বাচনে আসার কথা জানালে আমরা তফসিল পুনর্বিবেচনা করবো।’
ভোটকেন্দ্রে ভোটার আনার দায়িত্ব প্রার্থীদের জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচনে কেউ আচরণবিধি ভঙ্গ করলে অবশ্যই আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেবো। আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে চাই। রাজশাহী অঞ্চলের আইনশঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা একটি সুষ্ঠ নির্বাচন উপহার দিতে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নির্বাচন করতে আমরা বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দিয়েছি দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের। একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
বর্তমান এমপিরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে সংসদ সদস্যের পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে জানিয়ে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘তবে দলীয় প্রার্থী হলে পদত্যাগ করতে হবে না।’