বগুড়ায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় করা মামলায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (৩১ জুলাই) বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল মোমিন এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল বাছেদ বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের আপিল ডিভিশনের নির্দেশনা অনুসরণ করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বলা হয়েছে।’
এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গত ২৩ জুলাই আলী আজগরের সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছিলেন। শুনানি শেষে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আদালত ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে গত ১৬ জুলাই বিকালে শহরের সাতমাথা টেম্পল রোডে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। কেউ মামলা করতে রাজি না হওয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে উপ-দফতর সম্পাদক খালেকুজ্জামান রাজা ঘটনার ছয় দিন পর ২৩ জুলাই সদর থানায় মামলা করেন। জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশাকে প্রধান, সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনাকে দ্বিতীয় আসামি করে ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে ২৩৭ জনকে আসামি করা হয়। আসামিদের অধিকাংশই জামায়াত, শিবির ও বিএনপির নেতাকর্মী। তবে এজাহারে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নেওয়া শিক্ষার্থী লায়লাতুন নাজিম, কোটা আন্দোলন নিয়ে ছাত্রলীগ থেকো পদত্যাগী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাকি তাজওয়ার, বগুড়া জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, শাওন পাল, বেসরকারি পলিটেকনিকের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী শাহাবুদ্দিন সৈকত ও সবুর শাহ লোটাস, আওয়ামী লীগ নেতা কাজল প্রমুখকে আসামি করা হয়। মামলার পর ওই দিন রাত ৯টার দিকে শহরের মফিজ পাগলার মোড় থেকে হেনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এসআই নজরুল ইসলাম তাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চান।
মামলার বাদী জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক খালেকুজ্জামান রাজা বলেন, ‘এজাহারে কার কার নাম আছে, তা আমি জানি না। আওয়ামী লীগের ঊর্ধ্বতন নেতারা এজাহার লিখে দিয়েছেন। আমি শুধু স্বাক্ষর করেছি। আমাকে মামলার বাদী করে ঝামেলায় ফেলা হয়েছে।’