গেলো ৫ আগস্ট জয়পুরহাট সদর থানায় দুষ্কৃতকারীরা হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে রক্ষিত অস্ত্র-গুলি লুট করে নিয়ে যায়। এর মধ্যে একটি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে খবর পাওয়া যায় জয়পুরহাট পৌরসভার সিমেন্ট ফ্যাক্টরির মাঠের পূর্ব দিকে গুলশান মোড়-দেবীপুর রেলগেট রাস্তার পূর্ব পাশে ঝোপের নিকট পরিত্যক্ত অবস্থায় কিছু অস্ত্র-গুলি পড়ে রয়েছে। ওই সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে গিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা একটি চায়না পিস্তল, আট রাউন্ড গুলি, উনত্রিশ রাউন্ড ৯ মি.মি পিস্তলের গুলি, একটি ম্যাগাজিন ও একটি অস্ত্রের কাভার উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পুলিশ অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করে জব্দতালিকা করে জয়পুরহাট সদর থানায় সেগুলো নিয়ে যায়।
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর জানান, গেলো ৫ আগস্ট জয়পুরহাট সদর থানায় ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সে সময় থানা থেকে লুট হওয়া ৪৪টি সরকারি অস্ত্রের মধ্যে ৩৭টি উদ্ধার হলেও এখনও ৭টি অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে আজ আরও ১টি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এখনও ৬টি অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাবের নেতৃত্বে এ অভিযানে অংশ নেন মো. কাওসার আলী, ডিআইও-১, এসআই মো. মাহবুবুর রহমান, ডিএসবি।
জয়পুরহাট পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব বলেন, ‘জয়পুরহাট জেলায় যোগদানের পর থেকে গত ৫ আগস্ট জয়পুরহাট সদর থানায় দুষ্কৃতকারীরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে থানায় রক্ষিত লুট করে নিয়ে যাওয়া সরকারি ও পাবলিক অস্ত্র-গুলি উদ্ধারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। লুট হওয়া অস্ত্র-গুলি উদ্ধারের জন্য পুলিশি তৎপরতা ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধিসহ জেলার সকল থানা এলাকায় জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণ সভা সমাবেশ করছি। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার আরও এটি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করতে পেরেছি। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’