পদবঞ্চিতদের আন্দোলনের মুখে সিরাজগঞ্জের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটি স্থগিত করা হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিরাজগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক কমিটি স্থগিত করা হলো। অর্থাৎ কমিটি ঘোষণার মাত্র দুদিনের মধ্যের এটি স্থগিত করতে হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি।
এদিকে শনিবার এই কমিটির ঘোষণা করা হলে ক্ষুব্ধ হন পদবঞ্চিতরা। এই কমিটি বাতিলের দাবিতে তারা যমুনা সেতু পশ্চিম পাড় মহাসড়ক ও রেল লাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
এ ঘটনায় ঢাকাসহ উত্তরের ১৬ জেলার যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহন। এ সময় যমুনা সেতু পশ্চিম পাড় সয়দাবাদ রেলওয়ে স্টেশনে দুটি ট্রেন আটকে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে যমুনা সেতু পশ্চিম পাড় মহাসড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। পড়ে এক ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মহাসড়ক ছেড়ে সড়কের পাশে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিরাজগঞ্জ জেলা প্রধান সমন্বয়ক মুনতাসীর মেহেদী বলেন, বৈষম্য দূর করতে আমরা অকাতরে জীবন দিয়েছি। আর সেই আন্দোলনের জেলা কমিটি ঘোষণায় বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। আমরা এই বৈষম্যমূলক কমিটির বিলুপ্তি দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও জানান, সোমবার সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। এ জন্য আমরা এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রেল ও মহাসড়ক ছেড়ে সড়কের পাশে অবস্থান নিয়েছি। আমাদের দাবি না মানা হলে আবারও সড়ক ও রেল অবরোধ করা হবে।
অবশেষে কমিটিটি স্থগিত করা হলো। এর আগেও বিভিন্ন দাবির মুখে টাঙ্গাইলসহ কয়েকটি কমিটি স্থগিত করতে হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার ৮ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে সজিব সরকারকে আহ্বায়ক, মেহেদী হাসানকে সদস্য সচিব, ইকবাল হাসান রিপনকে মুখ্য সংগঠক ও টি এম মুশফিক সাদকে মুখপাত্র করা হয়েছে।