বগুড়ার কাহালুতে আবু রেজা রিপন নামে শিক্ষকের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাতে ১৫ জনের একদল ডাকাত দরগাহাটের ওই বাড়িতে হানা দেয়। তারা জানালার গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে শিক্ষকের স্ত্রী-সন্তানকে জিম্মি করে পৌনে পাঁচ লাখ টাকা ও ২৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। ঘটনাটি কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেওয়ায় এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৭ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত মামলা করেননি ভুক্তভোগী শিক্ষক।
আবু রেজা রিপন কাহালুর নারহট্ট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশপাশি স্থানীয় দরগাহাট বাজারে মুন্নু অ্যান্ড রাইশা এন্টারপ্রাইজ নামে তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে দরগাহাটের পশ্চিম পাশে বগুড়া-নওগাঁ সড়কের পাশের বাড়িতে বসবাস করেন।
ওই শিক্ষকের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাত ২টা ৫৫ মিনিটের দিকে ১৫ সদস্যের একদল ডাকাত আবু রেজা রিপনের বাড়িতে হানা দেয়। বাড়ির পশ্চিম পাশের জানালার গ্রিল কেটে পাঁচ ডাকাত সদস্য ঘরে ঢোকে। তারা শিক্ষকের স্ত্রী ও দুই মেয়েকে দেশি অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। মেয়েদের চিৎকারে রিপন ঘুম থেকে জেগে উঠলে ডাকাতরা তাকেও জিম্মি করে ফেলে। জিম্মি অবস্থায় চিৎকার করায়
হত্যার হুমকি দেয়। এরপর রিপনের হাত-পা, মুখ বেঁধে ও স্ত্রী-মেয়েদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আলমারি ও বিভিন্ন ড্রয়ারের চাবি নেয়। বাইরের গেট খোলার পর আরও কয়েকজন ডাকাত ঘরে ঢোকে। তারা আলমারিসহ বিভিন্ন ড্রয়ায় খুলে নগদ চার লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং প্রায় ২৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ডাকাতি শেষে ডাকাতরা এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নিলে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
ঘটনার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন শিক্ষক আবু রেজা রিপন। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ডাকাতরা হত্যার হুমকি দেওয়ায় আইনি ব্যবস্থা নেবো কিনা, সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছি। আসলে আমরা আতঙ্কে আছি। এজন্য মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মামলা করিনি। তবে বিষয়টি কাহালু থানার ওসিকে জানিয়েছি।’
কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হান্নান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ওই শিক্ষক ডাকাতির বিষয়টি জানিয়েছেন। আমরা ঘটনাস্থলে যাবো। মামলা করলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’