জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, ‘আমরা এমন একটা রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করতে চাই যেখানে সন্ত্রাসের রাজনীতি, অর্থের প্রভাবের রাজনীতি থাকবে না। সেই রাজনীতিকে আমরা প্রশ্রয় দিতে চাই না। রাজনীতি করতে চাই দেশের স্বার্থে। দেশের স্বার্থ এবং জনমানুষের স্বার্থ নিয়ে যারা রাজনীতি করেন, তারা বিভক্ত হয়ে পড়েন না। তাদের মাঝে নেতৃত্বের জায়গা থেকে প্রতিযোগিতা থাকতে পারে, ভালো কাজের প্রতিযোগিতা থাকতে পারে, কিন্তু অন্তর্দ্বন্দ্বের মতো বিষয়, পেশিশক্তির যে রাজনীতি সেগুলোর কোনও স্থান নেই আমাদের রাজনীতিতে।’
রবিবার (৬ জুলাই) বেলা ১১টায় নওগাঁয় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এসব মন্তব্য করেন। ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’র ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে পরে নওগাঁ থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেন এনসিপির নেতাকর্মীরা।
আখতার হোসেন বলেন, ‘গতকাল আমরা যখন পদযাত্রা নিয়ে নওগাঁতে আসি, তখন জনমানুষের ঢল নামে। স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে শহর। কিন্তু নওগাঁ শহরের ভেতরের রাস্তাগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। নওগাঁ জেলা হিসেবে তার কিছু আলাদা প্রয়োজনের জায়গা রয়েছে, আলাদা সম্ভাবনার জায়গা রয়েছে। এখানকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘বেকারত্ব দূরীকরণ এবং জীবনমান উন্নয়নে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন, সেই ব্যাপারগুলো নিয়ে আমরা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা আশা করছি, নওগাঁতে এনসিপির ঘাঁটি হিসেবে গড়ে উঠবে।’
এনসিপির ডাকে নওগাঁবাসীর সাড়া পাওয়ার কথাও তুলে ধরেন আখতার হোসেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশসহ উত্তরাঞ্চলে এনসিপি সমানভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এখানকার রিকশাচালক থেকে শুরু করে শ্রমজীবী মানুষেরা এনসিপির বার্তা পেয়েছেন। এনসিপি শুধু তরুণদের দল—এই ধারণা নওগাঁ এসে আমাদের ভেঙে গেছে। প্রবীণ, মধ্যবয়সী, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। শহীদ পরিবারের সদস্যরাও আমাদের কাছে এসেছেন, এটা আমাদের খুশি করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নওগাঁতেও এনসিপির সমন্বয় কমিটি গঠিত হয়েছে। যেসব নেতৃবৃন্দ আছেন, তারা এখনও আরও মানুষকে যুক্ত করার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নিজেদেরকে নিয়ে যাচ্ছেন। আমরা আশাবাদী—সাংগঠনিকভাবে আমরা যেভাবে নওগাঁতে বিস্তার করেছি, সেটি আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে। স্থানীয় নেতাকর্মীদের আমরা নির্দেশনা দিয়েছি, সাধারণ মানুষের কাছে যেতে এবং দেশকে নতুন করে গড়ার যে প্রয়োজন, সেটি তুলে ধরতে।’