বগুড়া শহরের খান্দার মাহবুবনগর এলাকায় ও শাজাহানপুর উপজেলার আড়িয়াবাজারে সোমবার রাতে দুর্বৃত্তরা মুরগি ব্যবসায়ী ও এক নৈশ প্রহরিকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করছে। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। নৈশ প্রহরিকে হত্যার ঘটনায় তার দুই সহকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন, বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া পশ্চিমপাড়ার আনসার আলীর ছেলে মুরগি ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম (২২) ও শাজাহানপুর উপজেলার কাটাবাড়িয়া মধ্যপাড়ার মৃত আজিজুল হকের ছেলে নৈশ প্রহরি আনোয়ারুল হক (৪২)।
সদর থানার ওসি (তদন্ত) আসলাম আলী জানান, শহিদুল ইসলাম সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর তিনি আর ফিরে আসেননি। দুর্বৃত্তরা তাকে খান্দার মাহবুবনগর এলাকায় ফাঁকা মাঠে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যার পর লাশ ফেলে যায়। তিনি তার ভাইয়ের মুরগির দোকানে বসতেন। ওসির ধারনা,পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার গলায় ও বাম হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে লাশ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বেলা ১১টায় এই খবর পাঠানোর সময় সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল। এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি।
আরও পড়তে পারেন:
বর্ষবরণে সাদা-লাল পোশাক ঐতিহ্য নয়, কেবলই ফ্যাশন
শাজাহানপুর থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, আনোয়ারুল হক আড়িয়াবাজার এলাকায় নৈশপ্রহরির কাজ করতেন। সোমবার রাত ৩টা পর্যন্ত তাকে ওই বাজারে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। ভোর ৫টার দিকে বাজারের দক্ষিণপাশে আবর্জনার স্তুপের পাশে তার গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। লুঙ্গি দিয়ে তার হাত, পা ও মুখ বাঁধা ছিল। সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। বাজারে কোনও মালামাল খোয়া না যাওয়ায় পুলিশ কর্মকর্তাদের ধারনা, আনোয়ারুল হককে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাজারের অপর নৈশ প্রহরি ওবাইদুল ইসলাম ও ফেরদৌসকে থানায় আনা হয়েছে। নিহতের ভাই আবদুস সোবহান শাজাহানপুর থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন।
/জেবি/