দিনাজপুরের কিশোরী ইয়াসমিনের স্মরণে আজ বুধবার পালিত হচ্ছে ‘নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস’। ১৯৯৫ সালের এই দিনে কয়েক পুলিশ সদস্যের ধর্ষণের শিকার হয় ইয়াসমিন। এর প্রতিবাদে রাজপথে নামলে জনতার ওপর গুলি চালায় পুলিশ। তাতে সাতজন নিহত হয়।
১৯৯৫ সালের ২৪ আগস্ট ঢাকা থেকে বাসে করে বাড়ি ফিরছিলো ইয়াসমিন। কিন্তু বাসটি তাকে দশমাইল নামক স্থানে নামিয়ে দেয়। সেখানে পুলিশের কয়েক সদ্স্য তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তাদের ভ্যানে তোলে। ভ্যানে তোলার পর পুলিশ সদস্যরা তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ রাস্তায় ফেলে যায়।
এ ঘটনায় দশমাইল এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। পরে তা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে দিনাজপুরে এক মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সাতজন নিহত হয়। পরে আন্দোলনের মুখে জড়িত তিন পুলিশ সদস্যদের ফাঁসি হয়। ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে।
ইয়াসমিনের মা শরিফা বেগম বলেন, ‘দিবসটি আসলে মেয়ের কথা বেশি বেশি মনে পড়ে। আর যাতে কোনও মায়ের কোল খালি না হয়, সবসময় সেই দোয়া করি।’
সেদিনের আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছিল মহিলা পরিষদ। দিনাজপুর মহিলা পরিষদের সভানেত্রী কানিজ রহমান জানান, এখনও অনেক নারী-শিশু নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, কিন্তু কোনও বিচার হচ্ছে না।
ওই আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল। তিনি বলেন, ‘ইয়াসমিনের ঘটনায় যে আন্দোলন হয়, তা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল।’
/এআরএল/
আরও পড়ুন:
শিগগিরই মন্ত্রিসভায় উঠবে সম্প্রচার আইন ও অনলাইন নীতিমালা: তথ্যমন্ত্রী