X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

ঘোষণার এক মাস পেরুলেও হিলিতে এখনও শুরু হয়নি ধান সংগ্রহ অভিযান

হিলি প্রতিনিধি
০৯ জুন ২০১৭, ১০:১০আপডেট : ০৯ জুন ২০১৭, ১০:১৩

ঘোষণার এক মাস পেরুলেও হিলিতে এখনও শুরু হয়নি ধান সংগ্রহ অভিযান ঘোষণার এক মাসেরও বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু করতে পারেনি হিলি খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষ। তারা বলছেন, সরকারিভাবে বরাদ্দ না পাওয়ায় এখনও ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু করা যায়নি। বরাদ্দ পেলে শিগগিরই ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু করা হবে।

অপরদিকে সরকার ঘোষিত দামের চেয়ে বাজারে ধানের দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা স্থানীয় আড়তদারদের কাছে তাদের ধান বিক্রি করছে। দাম কম ও ঝামেলার কারণে সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিতে নিরুৎসাহিত বোধ করছেন কৃষকরা। এতে করে ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

হিলি খাদ্যগুদাম কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২ মে থেকে চলতি ইরি বোরো মৌসুমে সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ অভিযান শুরুর ঘোষণা দেয় খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। কিন্তু সেই ঘোষণার একমাসেরও বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু করতে পারেনি। প্রতি কেজি ধান ২৪ টাকা দরে কেনার ঘোষনা দেওয়া হলেও হিলি খাদ্যগুদামকে কোনওপ্রকার বরাদ্দ না দেওয়ায় ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু করতে পারেনি খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষ।

হাকিমপুর উপজেলার হরিহরপুর গ্রামের কৃষক মামুনুর রশিদ ও আজিজার রহমান বলেন, ‘সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিতে হলে সেখানে ধানের আদ্রতা ১৪ শতাংশ থাকতে হবে তার ওপর আরো অনেক ধরনের ঝামেলা তো রয়েছেই। ১৮/২০ আদ্রতা থাকলেও স্থানীয় আড়তদারদের কাছে ধান নিয়ে আমাদের সেরকম কোনও ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে না। তারা সেসব ধান নিয়ে নিচ্ছে এতে করে আমরা স্থানীয় বাজারে ধানের দাম বেশি পাচ্ছি। তাই আমরা কেন সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিতে যাব?’
তারা আরও বলেন, ‘ক্ষেত থেকে ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে এসে মাড়াই শেষে কাচা ধান আমরা স্থানীয় বাজারে আড়তদারদের কাছে যে দামে বিক্রি করতে পারছি তা সরকারি হিসেবে ঘোষণাকৃত ধানের দামের চেয়ে বেশি। আমরা কৃষকরা সবাই স্থানীয় আড়তদাড়দের কাছে ধান বিক্রি করে লাভবান হচ্ছি। সব কিছুর পরেও আমরা যে পরিমাণ ধান পেয়েছি তার ওপর বাজারে ধানের যে দাম পাচ্ছি তা বিগত বছরগুলোর তুলনায় বেশি। এতে করে ধানের এমন দাম পেয়ে আমরা খুশি।’

হাকিমপুর উপজেলার হরিহরপুর গ্রামের আড়তদার মশপিকুর রহমান বলেন, বর্তমানে মিনিকেট জাতের ধান হাজার টাকা থেকে হাজার বিশ টাকা দরে কেনা হচ্ছে। এছাড়াও আঠাশ জাতের ধান ৯শ থেকে ৯৫০ টাকা এবং ২৯ জাতের ধান ৮৮০ টাকা থেকে ৯শ টাকা মন দরে কেনা হচ্ছে। বাজার দিন দিন বাড়তির দিকে কমার কোনও লক্ষন দেখা যাচ্ছে না। কৃষকরা আশানুরুপ ফলন না পাওয়ায় আগে আমরা যেখানে প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ গাড়ি ধান কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানের মিলারদের কাছে সরবরাহ করতাম এখন সেখানে ২ থেকে ৩ গাড়ি ধান কিনতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। মিলারদের চাহিদা থাকা সত্বেও আমরা চাহিদা অনুযায়ী ধান সরবরাহ করতে পারছি না। বাজারে ধানের আমদানিও প্রায় শেষের দিকে।’

হিলি খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মো.খলিলুর রহমান বলেন, ‘সরকার ২ মে থেকে সারাদেশে চলতি ইরি বোরো মৌসুমে ধান সংগ্রহ অভিযান শুরুর ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত হিলিতে সেটি চালু করতে পারেনি। কারন এখন পর্যন্ত সরকার ধানের কোনও বরাদ্দ আদেশ দেননি। শুধুমাত্র তারা প্রতি কেজি ধান ২৪ টাকা দরে কিনবে এমন ঘোষণা দিয়েছিল। সরকার বরাদ্দ দিলে অতিসত্বর ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু করা যাবে।’

/এআর/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান প্রধান বিচারপতির
খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান প্রধান বিচারপতির
কেমন চলছে ১৪ দলীয় জোট?
কেমন চলছে ১৪ দলীয় জোট?
গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
‘সরকারকে যারা চাপ দেবে তারা নিজেরাই যথেষ্ট চাপে রয়েছে’
‘সরকারকে যারা চাপ দেবে তারা নিজেরাই যথেষ্ট চাপে রয়েছে’
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম