X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১

নীলফামারীতে পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের আশা

নীলফামারী প্রতিনিধি
২১ নভেম্বর ২০১৯, ১৯:৪৯আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০১৯, ১৯:৫১

 

পেঁয়াজক্ষেত নীলফামারীতে এ বছর পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। জেলার ছয় উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে নীলফামারী সদরে।

সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর পেঁয়াজের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। গত বছর জেলায় বন্যার কারণে আশানুরুপ পেঁয়াজ ঘরে তুলতে পারেননি কৃষকেরা।

নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, এ বছর নীলফামারী জেলায় কাটা (কন্দ) পেঁয়াজের আগাম চাষ হয়েছে ২১৭ হেক্টর জমিতে। আর এই জমি থেকে আগাম (কন্দ) পাতা পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারবে প্রায় ১৩ হাজার মেট্রিকটন।  আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার পেঁয়াজের বাম্পার ফলন পাবে কৃষক। আশাকরি, পেঁয়াজ চাষে কৃষক লাভবান হবে।

নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, জেলার ছয়টি উপজেলার মধ্যে সদরে ৫০০, ডোমারে ২৫১, ডিমলায় ২৮২, জলঢাকায় ২১১, কিশোরগঞ্জে ১৫০ ও সৈয়দপুরে ৬ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। পেঁয়াজ সবচেয়ে বেশি আবাদ হয় নীলফামারী সদরে।

জেলা সদরের গোড়গ্রাম ইউনিয়নের ধোবাডাঙ্গ গ্রামের পেঁয়াজ চাষি সাইদুল ইসলাম জানান, যদি আবহাওয়া ভালো থাকে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয়, তাতে আমাদের পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হবে। আর সপ্তাহ খানেক পর পরিপক্ক পেঁয়াজ বাজারে তোলা যাবে। গ্রামের অনেকেই কাঁচা পয়সার আশায় পাতা পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি করছেন।

পেঁয়াজক্ষেতে চাষি একই এলাকার পেঁয়াজ চাষি নূহ মিয়া জানান, এবার তিনি ৪০ শতাংশ জমিতে পেঁয়াজের চাষ করেছেন। আর এতে বীজ, সার, সেচ, হাল, নিড়ানি ও পেঁয়াজ তোলাসহ খরচ হবে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। পেঁয়াজ বিক্রি হবে প্রায় এক লাখ টাকার।

সরেজমিনে, বিভিন্ন এলাকার পেঁয়াজের মাঠ ঘুরে ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাটা (কন্দ) পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে বিঘাপ্রতি ৪০-৪৫ মণ পেঁয়াজ ঘরে তোলা যাবে। বর্তমানে পাতা পেঁয়াজ বা কন্দ পেঁয়াজ প্রতি মণ এক হাজার ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পুরনো পেঁয়াজ প্রকারভেদে পাইকারি বাজারে ১৬৫-১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৯০ টাকা কেজি দরে। জেলা সদরে এখন পর্যন্ত কোনও ধরনের টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা যায়নি।

জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা মো. এরশাদ আলম  খাঁন এক প্রশ্নের জবাবে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রির বিষয়টি এড়িয়ে বলেন, ‘অন্যান্য জেলায় ওই পেঁয়াজ বিক্রি হলেও নীলফামারীতে এখন পর্যন্ত বিক্রি শুরু হয়নি।’

 

/এনআই/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ঘনঘন শ্যাম্পু ব্যবহারে চুল রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে? জেনে নিন সমাধান
ঘনঘন শ্যাম্পু ব্যবহারে চুল রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে? জেনে নিন সমাধান
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো ব্যবসায়ীর
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো ব্যবসায়ীর
আজ কি বৃষ্টি হবে?
আজ কি বৃষ্টি হবে?
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলে টর্নেডোর আঘাতে নিহত ৫
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলে টর্নেডোর আঘাতে নিহত ৫
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ