X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৪ বৈশাখ ১৪৩১

ছাত্রলীগের আন্দোলনে অচল হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

দিনাজপুর প্রতিনিধি
২৭ জানুয়ারি ২০২০, ১৭:৩৩আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২০, ১৮:১২

হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

নিয়োগে অনিয়ম, যৌন হয়রানি এবং বিচারহীনতার প্রতিবাদসহ ১১ দফা দাবিতে ছাত্রলীগের আন্দোলনে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে দিনাজপুরের হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি)। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) প্রশাসনিক ভবন ও লাইব্রেরিতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে। আন্দোলনের কারণে নবাগত শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজিত নবীনবরণ অনুষ্ঠানও পণ্ড হয়ে গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে ১০ কর্মকর্তা এবং ৪৯ কর্মচারী নিয়োগের বিষয়ে রবিবার (২৬ জানুয়ারি) নিজস্ব ওয়েবসাইটে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপরই তাৎক্ষণিকভাবে আন্দোলনে নামে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বিকাল ৫টার দিকে ওরিয়েনটেশনের মঞ্চ ভাঙচুর করে তারা। প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে রেজিস্ট্রার, প্রক্টর এবং উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন পদে দ্বায়িত্বশীল শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখে তারা। এরপর সোমবার সকালে প্রশাসনিক ভবন ও লাইব্রেরিতে তালা ঝুলিয়ে দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। লাইব্রেরিয়ান পদে বিএনপিপন্হি শিক্ষক প্রফেসর ড. রেজাউল করিমকে পদায়ন করা, যৌন হয়রানির বিচার না করার ঘটনা এবং অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগের সমাধানসহ ১১ দফা দাবিতে তারা আন্দোলন শুরু করায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনিক ভবনের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রশাসনিক ভবনে তালা

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। তাছাড়া স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে শিক্ষকদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে। যাতে বারবার শিক্ষক আন্দোলন ও ছাত্র আন্দোলনের ঘটনা ঘটছে। ছাত্রীদের যৌন নির্যাতনকারী শিক্ষকদেরও বিচার হচ্ছে না। আবার জামায়াত-বিএনপিপন্হি শিক্ষকদের বিভিন্নভাবে পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে। বারবার এসব বিষয়ে বলা হলেও কোনও সমাধান না করায় আন্দোলনে নেমেছেন তারা। দাবি মেনে না নেওয়া হলে আন্দোলন আরও বেগবান করা হবে বলে জানিয়েছে ছাত্রলীগ নেতারা। যদিও ২০১১ সালে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর হাবিপ্রবি ছাত্রলীগের নতুন কমিটি দেওয়া হয়নি।

আন্দোলনকারী হাবিপ্রবি ছাত্রলীগ নেতা আলমগীর হোসেন আকাশ বলেন, দীর্ঘদিন আমাদের দাবিগুলো উপেক্ষিত। নিয়োগ বাণিজ্য, দুর্নীতি, অনিয়ম, জামায়াত-বিএনপিকে মদদ দিচ্ছে প্রশাসন। বারবার দাবি জানালেও কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় আমরা আন্দোলনে নেমেছি। এসময় ছাত্রলীগ কর্মী রাশেদুল ইসলাম রাহাত ও জাহিদুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে শিক্ষকদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করেছে। ফলে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। আমরা চাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিগুলোর ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হোক, যাতে ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ বজায় থাকে।

অন্যদিকে পদোন্নতির দাবিতে অর্ধদিবস কলম বিরতিসহ অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রশাসনিক পদের কর্মকর্তারা। ওই দাবিতে গত দেড়মাস ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন প্রায় শতাধিক সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা। ছাত্রলীগ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের আন্দোলনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডা. ফজলুল হক জানান, নিয়ম মেনেই সব সমস্যার সমাধান করার প্রক্রিয়া চলছে।

 

/এমআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
রাজধানীতে মাদকদ্রব্যসহ একদিনে গ্রেফতার ২৪
রাজধানীতে মাদকদ্রব্যসহ একদিনে গ্রেফতার ২৪
উপজেলা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
উপজেলা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
দক্ষিণ আফ্রিকায় ভয়াবহ ভবন ধস, আটকা পড়েছে অনেকে
দক্ষিণ আফ্রিকায় ভয়াবহ ভবন ধস, আটকা পড়েছে অনেকে
বাংলাদেশের কৃষির পরিবর্তনে বৈশ্বিক অংশীদারত্বের সহযোগিতা করার অঙ্গীকার
বাংলাদেশের কৃষির পরিবর্তনে বৈশ্বিক অংশীদারত্বের সহযোগিতা করার অঙ্গীকার
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস