X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

জালিয়াতি করে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ, মাদ্রাসার সহকারী সুপার কারাগারে

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
১৩ ডিসেম্বর ২০২১, ২২:০৯আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২১, ২২:০৯

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার দাশিয়ারছড়ার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার শাহ নুর আলমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মাদ্রাসার ‘ভুয়া’ সভাপতি আব্দুল খালেককেও কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জালিয়াতির মাধ্যমে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগে করা মামলায় সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সুমন আলী এ আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী হারুন অর রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শাহ নুর আলম ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের অনন্তপুর ঘুঘুরহাট গ্রামের ময়েন উদ্দিনের ছেলে এবং আব্দুল খালেক দাশিয়ারছড়ার মৃত আজগার আলীর ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মাদ্রাসার সহকারী সুপার পদে থেকে শাহ নুর আলম নিজেকে সুপার এবং আব্দুল খালেককে সভাপতি দেখিয়ে মাদ্রাসা সুপার আমিনুল ইসলাম মিয়া ও সভাপতি আ. রহমান মিয়ার অজান্তে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেন। বিষয়টি জানতে পেরে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আ. রহমান মিয়া চলতি বছরের জুন মাসে শাহ নুর আলম ও আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ এনে মামলা করেন। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার পর সোমবার শাহ নুর আলম ও আব্দুল খালেক আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসার সুপার আমিনুল ইসলাম মিয়া বলেন, শাহ নুর আলম সহকারী সুপার হলেও নিজেকে সুপার এবং আব্দুল খালেককে ভুয়া সভাপতি দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে কাগজপত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠান। বিষয়টি জানতে পেরে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আ. রহমান মিয়া বাদী হয়ে মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পান। জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

আমিনুল ইসলাম মিয়া বলেন, ‘আমি সুপার এবং মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আ. রহমান প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হলেও সহকারী সুপার শাহ নুর আলম নিজেকে সুপার এবং আব্দুল খালেককে ভুয়া সভাপতি দেখিয়ে ভুয়া সিল বানিয়ে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন। যা অবৈধ এবং প্রতারণার শামিল।’

আদালতের বেঞ্চ সহকারী হারুন অর রশীদ বলেন, আদালতের নির্দেশে অভিযুক্তদের কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ছিটমহল বিনিময়ের পরপরই ২০১৫ সালে দাশিয়ারছড়ার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে এটি সরকারি করা হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ২৯ জন শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত আছেন বলে প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে। তবে শিক্ষক-কর্মচারীরা এখনও এমপিও পাননি।

/এএম/
সম্পর্কিত
ঢাবির জগন্নাথ হলে বসে প্রাথমিকের প্রশ্নের সমাধান!
উপজেলা নির্বাচনে পলকের হস্তক্ষেপ ঠেকাতে হাইকোর্টে রিট
নাইজেরিয়ায় বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত কারাগার, পালালো শতাধিক বন্দি
সর্বশেষ খবর
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা