এলজিএসপি প্রকল্পের অর্থ উত্তোলনে অনিয়ম এবং জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের আদায়কৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে কুড়িগ্রামের চিলমারীর রমনা মডেল ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. মিনারুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়ছে। গত ২৮ নভেম্বর কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক (সদ্য সাবেক) মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রমনা মডেল ইউপি সচিব মো. মিনারুল হক ২০১৮-১৯ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরে এলজিএসপি স্কিমের ১৭ লাখ ৭৭ হাজার ৬৫৬ টাকার বিল স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক (ডিডিএলজি) ও ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটরকে (ডিএফকে) না জানিয়ে চিলমারী সোনালী ব্যাংক শাখার পরিবর্তে অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে উত্তোলন করেন। এছাড়াও জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের আদায়কৃত আট লাখ ৩০ হাজার ৪৭৫ টাকা নিয়মবহির্ভূতভাবে নিজের কাছে রাখেন। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখা থেকে গত ২৪ জুলাই জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের আদায়কৃত টাকা তিন কার্যদিবসের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিলে তিনি চার লাখ টাকা জমা দেন। অবশিষ্ট টাকা নিজের কাছে রাখেন; যা আত্মসাতের সামিল। এজন্য গত ১৪ সেপ্টেম্বর ইউপি সচিব মো. মিনারুল হককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। তিনি গত ২১ সেপ্টেম্বর কারণ দর্শানোর জবাব দেন। জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগে বিভাগীয় মামলা করা হয়। পরে একই বিধিমালার সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউপি সচিব মো. মিনারুল হক বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিষয়ে আমার কোনও বক্তব্য নেই। তারা যা ভালো মনে করেছেন সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
অবশিষ্ট টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সচিব বলেন, ‘মূল নিবন্ধক হলেন ইউপি চেয়ারম্যান। বিধি অনুযায়ী নিবন্ধনের (জন্ম-মৃত্যু) টাকা তার কাছে থাকার কথা। আমি বর্তমানে যেহেতু চাকরির বাইরে তাই বাকি টাকা চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জমা দেওয়া হবে।’