অগ্রহায়ণের শেষে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে উত্তরাঞ্চলে। বুধবার দিবাগত রাত থেকে তাপমাত্রা হ্রাস আর কুয়াশা বাড়তে থাকায় পৌষে জেঁকে বসার বার্তা দিচ্ছে শীত। বিশেষ করে চরাঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেশি বলে জানা গেছে।
এ অবস্থায় চলতি মাসের শেষের দিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা করছেন কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তুহিন মিয়া। আবহাওয়ার পূর্বাভাসের বরাত দিয়ে তুহিন মিয়া বলেন, ‘চলতি মাসের শেষের দিকে দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে দুটি মৃদু কিংবা মাঝারি তীব্রতায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।’
শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে জানিয়ে তুহিন মিয়া আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেয়ে শীতের তীব্রতা কিছুটা বাড়তে পারে।’
এদিকে, শীতের তীব্রতা বাড়ায় সকালে কাজে বের হতে দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষজন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার পর সূর্যের দেখা মিলেছে। দুপুর গড়াতেই আবারও মেঘ ও কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশে যেন সন্ধ্যা নেমে আসার উপক্রম। ঠান্ডা বাড়ায় কাপড়ের দোকানগুলোতে শীতের পোশাক কেনার চাহিদা বেড়েছে। ইলেকট্রনিকস দোকানগুলোতে বেড়েছে পানি গরম করা ইলেকট্রিক ক্যাটলি, জগ ও গ্রিজারের চাহিদা। শীতে বিভিন্ন উপজেলার মোড়ে মোড়ে বসেছে শীতকালীন পিঠার দোকান। সন্ধ্যা হতেই এসব দোকানে ভিড় করছেন পিঠাপ্রেমীরা।
তবে শীত মোকাবিলায় দুর্গত মানুষের সহায়তার প্রস্তুতি নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। আসন্ন শীতে জেলার গরিব ও দুস্থদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৩৮ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দকৃত এসব কম্বল ইতোমধ্যে জেলার ৯ উপজেলায় উপ-বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থা শাখা।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘শীত বাড়ছে। শীত মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। ইতোমধ্যে শীতার্তদের জন্য কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরপরও কোথাও কোনও শীতার্তের খবর পাওয়া গেলে আমরা তাদের শীতবস্ত্রের ব্যবস্থা করবো।’