X
মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
৩০ বৈশাখ ১৪৩২

ভাড়াটে খুনি দিয়ে ভাতিজাকে খুন করান সাইফুল

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ০১:৫৮আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ০১:৫৮

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ১০ হাজার টাকায় দুজন ভাড়াটে খুনিকে দিয়ে ভাতিজা কামরুল ইসলামকে (৩৫) হত্যা করান চাচা সাইফুল ইসলাম। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী দিদার আলী ও নজিবুল হক কামরুলকে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) পঞ্চগড় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পঞ্চগড় পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা। হত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিনের মাথায় রহস্য উদঘাটন করে তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশ।

পুলিশ জানায়, কামরুল ইসলাম তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের যোগীগছ গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে। গত ২৩ জানুয়ারি কামরুল নিখোঁজ হন। তার ছোট ভাই কাবুল হোসেন ২৫ জানুয়ারি দুপুরে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ডায়েরির তিন ঘণ্টার মধ্যেই তেঁতুলিয়া থানা পুলিশ কামরুলের মৃতদেহ উদ্ধার করে। তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের ধানশুকা এলাকার করতোয়া নদীর ধারে একটি চা বাগানের নালা থেকে উদ্ধার করা হয়।

পরে ঘটনাস্থলে ফেলে যাওয়া আলামতের সূত্র ধরে তেঁতুলিয়া মডেল থানার একটি টিম একই উপজেলার গরিয়াগছ গ্রামের সরদার আলীর ছেলে দিদার আলীকে আটক করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করে এবং তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে। পরে পুলিশ মূল পরিকল্পনাকারী কামরুলের চাচা তেঁতুলিয়া উপজেলার যোগীগছ গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে সাইফুল ইসলামকে আটক করে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, কামরুলের চাচা সাইফুল ইসলাম একই এলাকার সপিজদ্দীনের ছেলে নজিবুল হক ও দিদার আলীকে ১০ হাজার টাকায় ভাড়া করেন। জমি-জমার বিরোধকে কেন্দ্র করে ভাতিজা কামরুলের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করেন তিনি। সে অনুযায়ী গত ২৩ জানুয়ারি রাতে কৌশলে কামরুলকে ডেকে আনেন তিনি।  হত্যাকাণ্ডের জড়িত নজিবুল হক পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এস এম শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) কনক কুমার দাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রাকিবুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সাঈদ চৌধুরী, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল লতিফসহ পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী জানান, কামরুল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২৬ জানুয়ারি নিহতের বাবা আব্দুল জব্বার বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের জনের নামে তেতুঁলিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

/এমআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
আ.লীগ কার্যালয় থেকে ‘চর উন্নয়ন কমিটির’ সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলা হয়েছে
আ.লীগ কার্যালয় থেকে ‘চর উন্নয়ন কমিটির’ সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলা হয়েছে
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সিপিবির আলোচনা
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সিপিবির আলোচনা
রাশিয়ার ক্রাকোভ কনস্যুলেট বন্ধের ঘোষণা পোল্যান্ডের
রাশিয়ার ক্রাকোভ কনস্যুলেট বন্ধের ঘোষণা পোল্যান্ডের
ঈদের পোশাক এনেছে লা রিভ
ঈদের পোশাক এনেছে লা রিভ
সর্বাধিক পঠিত
পররাষ্ট্র সচিবের অফিসার্স ক্লাবের সদস্য পদ স্থগিত
পররাষ্ট্র সচিবের অফিসার্স ক্লাবের সদস্য পদ স্থগিত
আ.লীগ-ছাত্রলীগের ২৬ নেতার আত্মসমর্পণ
আ.লীগ-ছাত্রলীগের ২৬ নেতার আত্মসমর্পণ
রংপুরের হাসপাতাল নেপাল ও ভুটানের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে: প্রধান উপদেষ্টা
রংপুরের হাসপাতাল নেপাল ও ভুটানের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে: প্রধান উপদেষ্টা
স্বর্ণের দাম আবার কমলো
স্বর্ণের দাম আবার কমলো
সুস্থ তটিনী, তবে শুটিংয়ে ফেরার মতো নয়
সুস্থ তটিনী, তবে শুটিংয়ে ফেরার মতো নয়