কুড়িগ্রামের মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি পদ থেকে সিরাজুল ইসলাম টুকুকে সরিয়ে দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। তার স্থলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদকে গভর্নিং বডির সভাপতি করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ মার্চ) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) ফাহিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত পত্রে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুস সালাম।
গত বছরের মে মাসে মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের দুই বছর মেয়াদি গভর্নিং বডি গঠিত হয়। এতে সভাপতি নির্বাচিত হন সিরাজুল ইসলাম টুকু। এরপরই তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। টুকুর বিরুদ্ধে ডিগ্রি পাসের ভুয়া সনদ দাখিল করে গভর্নিং বডির সভাপতি পদে মনোনয়ন নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তিনি ১৯৭৫ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে বি.কম পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ফেল করেন। কিন্তু বিএসসি পাসের জাল সনদ দিয়ে গভর্নিং বডির সভাপতি হন।
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষের সনদ যাচাইয়ে টুকুর এই জালিয়াতি ধরা পড়ে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ টুকুর বিএসসি পাসের সনদটি জাল বলে নিশ্চিত করে। জাল সনদ দিয়ে টুকুর গভর্নিং বডির সভাপতি হওয়ার খবর প্রকাশিত হলে কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় টুকুকে পদ থেকে সরিয়ে দেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
এদিকে, গভর্নিং বডির নতুন সভাপতি হয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ। নতুন দায়িত্ব পেয়ে তিনি বলেন, ‘মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজ জেলা শহরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। টুকু সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে সভাপতি পদে বসে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করেছেন। আমি এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখার পাশাপাশি শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করবো। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে সেই লক্ষ্যে কাজ শুরু করতে চাই। আমি সবার দোয়া ও সহযোগিতা চাই।’
কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুস সালাম বলেন, ‘রাজু আহমেদকে নতুন সভাপতি করার একটি চিঠি পেয়েছি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুসন্ধান শাখায় খোঁজ নিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি।’