দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে ভারতে গেলো বাংলাদেশের কাস্টমস, বন্দর কর্তৃপক্ষ, আমদানি-রফতানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
ভারতের মালদা কাস্টমসের আমন্ত্রণে মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে ১টায় হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ ও হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা তাপস কুমার দেবের নেতৃতে প্রতিনিধিদলটি বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেটের শূন্যরেখা দিয়ে ভারতে যায়। শূন্যরেখায় তাদের শুভেচ্ছা জানায় ভারতীয় কাস্টমস ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল। পরে প্রতিনিধিদলটি শূন্যরেখার পাশে কাস্টমস কার্যালয়ের সামনে নির্মিত গোলঘরে বৈঠকে যোগ দেয়।
বৈঠকে বাংলাদেশি প্রতিনিধি দলে রয়েছেন হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশীদ, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি শাহিনুর রেজা শাহিন, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র জামিল হোসেন, পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপক এসএম হায়দার, অশিত স্যানাল, হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা তাপস কুমার দেব, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুর রহিম ও বরুণ কুমার রায়।
বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধিদলে রয়েছেন ভারতের মালদা কাস্টমসের এসি তপন কুমার মিত্র, কাস্টমস সুপার গণেশ শর্মা, স্লোটের নর্টাল কর্মকর্তা জয়ন্ত মন্ডলসহ ভারতীয় রফতানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও বিএসএফের সমন্বয়ে ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
বৈঠকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রম পরিচালনা করতে কী কী সমস্যা রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিতকরণ এবং সেসব সমস্যা সমাধানের বিষয় নিয়ে কথা হবে। বন্দর দিয়ে খাদ্যপণ্য জাতীয় পণ্য সকাল ৬টা থেকে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি শুরুর বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় প্রতিনিধিদলটির একই পথ দিয়ে দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
হিলি স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের উপকমিশনার বায়জিদ হোসেন বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে জয়েন্ট গ্রুপ অব কাস্টমসের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে কিছু বিষয় ওঠে এসেছিল। মূলত সেই বিষয়গুলো কীভাবে সমাধান করা যায়, সেগুলো নিয়ে দুই দেশের কাস্টমস বন্দর কর্তৃপক্ষ, আমদানি-রফতানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সদস্যদের নিয়ে যৌথভাবে আলোচনা হবে এই বৈঠকে।