X
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪
২২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ভাতিজিকে হত্যা: ৬ বছর পর চাচা-চাচি গ্রেফতার

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
১২ অক্টোবর ২০২৩, ২১:০৫আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৩, ২১:০৫

কুড়িগ্রামের উলিপুরে ৭ বছরের শিশু চম্পা হত্যা মামলার প্রধান আসামি মিন্টু বসনিয়া ও তার স্ত্রী মোর্শেদা বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দীর্ঘ ৬ বছর পলাতক থাকার পর বুধবার (১১ অক্টোবর) গাজীপুর থেকে র‌্যাবের সহায়তায় তাদের গ্রেফতার করে উলিপুর থানা পুলিশের একটি দল। পরে বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মর্তুজা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতার দম্পতি উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের গনকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। নিজ ভাতিজিকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় জামিনে বের হয়ে ২০১৭ সাল থেকে তারা পলাতক ছিলেন। পরে আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলা সূত্রে পুলিশ জানায়, ২০১৩ সালে মিন্টু বসুনিয়া ও তার বড় ভাই চাঁদ মিয়া মাটি কাটার কাজ করতে গিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে ওই এলাকার বজরুল নামে এক ব্যক্তিকে মারধর করেন। এতে বজরুল গুরুতর আহত হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেসময় বজরুল মারা গেছেন বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে।

ঘটনার দায় এড়াতে এবং উল্টো বজরুলের পরিবারকে মামলায় ফাঁসাতে মিন্টু বসনিয়া ও তার স্ত্রী মোর্শেদা বেগম পরস্পর যোগসাজশে তাদের আপন ভাতিজি চাঁদ মিয়ার ৭ বছরের শিশুকন্যা চম্পাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে খোঁজাখুঁজির নাটক সাজিয়ে একপর্যায়ে মিন্টু মিয়া পাশের একটি বাঁশঝাড় হতে চম্পার লাশ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষ বজরুলের পরিবারের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হলে বজরুলের ভাতিজা হাফিজুলকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে মিন্টুর পরিবার। তবে মামলা তদন্তে ঘটনা ভিন্ন দিকে মোড় নেয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উলিপুর থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) জাকির উল ইসলাম চৌধুরী মামলাটি নিবিড় তদন্ত করেন। মামলার বাদী চাঁদ মিয়ার ভাই মিন্টু বসনিয়াকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মিন্টু তার স্ত্রীসহ আপন ভাতিজিকে হত্যার স্বীকারোক্তি দেন। পরে পুলিশ তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। মিন্টু ও তার স্ত্রীকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ।

কয়েক মাস কারাভোগ করে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পান মিন্টু ও তার স্ত্রী মোর্শেদা। এরপর তারা আত্মগোপনে চলে যান। মামলার শুনানিতে হাজির না হওয়ায় আদালত ২০১৭ সালের ১৫ মে এই দম্পতির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। দীর্ঘ ছয় বছর পর গত বুধবার তাদের গেফতার করে পুলিশ ও র‌্যাব।

আদালত সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বিকালে কুড়িগ্রাম জেলা জজ আদালতের অতিরিক্ত দায়রা জজ আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে পুলিশ আসামিদের কারাগারে পাঠায়।

ওসি গোলাম মর্তুজা বলেন, ‘মামলাটি চাঞ্চল্যকর। আসামিরা আত্মগোপনে ছিল। দীর্ঘদিনের চেষ্টায় আসামিদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।’

/কেএইচটি/
সম্পর্কিত
চালককে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে রিকশা ছিনতাই করতো তারা
মিল্টন সমাদ্দারের তিন মামলার বাদীরই মুখে কুলুপ
চিনি-লবণ মিশিয়ে নকল প্যাকেটে স্যালাইন তৈরি, গ্রেফতার ৩
সর্বশেষ খবর
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
পশ্চিম তীরে ২৫ ফিলিস্তিনি আটক ইসরায়েলের
পশ্চিম তীরে ২৫ ফিলিস্তিনি আটক ইসরায়েলের
২৪ ঘণ্টায়ও নেভেনি সুন্দরবনের আগুন, হেলিকপ্টার থেকে ছিটানো হচ্ছে পানি
২৪ ঘণ্টায়ও নেভেনি সুন্দরবনের আগুন, হেলিকপ্টার থেকে ছিটানো হচ্ছে পানি
 ‘আমি আগের চেয়ে ভালো আছি’
 ‘আমি আগের চেয়ে ভালো আছি’
সর্বাধিক পঠিত
মাঠ প্রশাসনে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের লাগাম টানবে সরকার
মাঠ প্রশাসনে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের লাগাম টানবে সরকার
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
মিল্টন সমাদ্দারের তিন মামলার বাদীরই মুখে কুলুপ
মিল্টন সমাদ্দারের তিন মামলার বাদীরই মুখে কুলুপ
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি
শোইগুর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে পুতিনের?
শোইগুর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে পুতিনের?