গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুলের বিরুদ্ধে অসহযোগিতামূলক আচরণের অভিযোগ তুলেছেন জেলার সাংবাদিকরা। আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগেই তাকে বদলি করার দাবি করেছেন তারা।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে জেলা প্রশাসকের বদলি চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের ২১ জন সংবাদকর্মী।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, জেলায় গণমাধ্যমকর্মীরা প্রশাসনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে উন্নয়ন সাংবাদিকতা করে আসছেন। সরকার ও প্রশাসনের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড জাতির সামনে তুলে ধরছেন সাংবাদিকরা। কিন্তু গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল যোগদানের পর থেকে স্থানীয় সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলছেন। তিনি কোনও গণমাধ্যমকর্মীর ফোন রিসিভ করেন না। ফলে রাষ্ট্রের স্বার্থে, সংবাদ-সংক্রান্ত ও নির্বাচনি কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানাতে পারছেন না সাংবাদিকরা।
এ ছাড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে তার নিয়োজিত এপিএসের (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) কাছে চিরকুটের মাধ্যমে সাক্ষাতের বিষয় উল্লেখ করতে হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরও তার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি পাওয়া যায় না। জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও জাতীয় দিবসের কর্মসূচিতে কোনও গণমাধ্যমকর্মীকে আমন্ত্রণ বা অবগত করা হয় না।
এমনকি তথ্য সংগ্রহের জন্য জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় কোনও সাংবাদিক প্রবেশ করলে তাকে অপমান করে বের করে দেন। নির্বাচন-সংক্রান্ত সংবাদ তৈরিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের বক্তব্য না পাওয়ায় চরম বিপাকে পড়ছেন তারা।
অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ২৭ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে নির্বাচনের প্রার্থী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর ইসি সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন। এ সময় স্থানীয় সাংবাদিকরা জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুলের বিরুদ্ধে ফোন না ধরার বিষয়টি তুলে ধরেন।
এই অভিযোগে বিষয়ে বক্তব্য জানতে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুলের সরকারি নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২৭ জুলাই কাজী নাহিদ রসুল গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগ দেন। ২৪তম বিসিএসের এই কর্মকর্তা এর আগে মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক ছিলেন।