রংপুরে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) কোটা সংস্কার নিয়ে চলমান আন্দোলনে পুলিশ ধৈর্য দেখিয়েছে বলে জানিয়েছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামান। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনায় ছয় মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘বহিরাগত কিছু লোকজন এসেছিল বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে। তারা সহ কিছু ব্যক্তি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। মালামাল পুড়িয়ে ফেলেছে, ছাত্রদের আবাসিক হল বঙ্গবন্ধু হলে আগুন দেয়া হয়েছে। অনেকগুলো গাড়িতে আগুন দিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে। ওয়ারলেস সেট পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। সব বিষয়ে মোট ৬টি মামলা দায়ের করা হবে।’
বুধবার (১৭ জুলাই) সোয়া ১২টার দিকে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলসহ বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
কমিশনার মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভেতরে ঢুকে এই অরাজকতা করা হয়েছে। আইনি ব্যবস্থার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।’
তিনি বলেন, ‘কারা কারা এসব ঘটনার নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। অনেক তথ্যই আমাদের কাছে এসেছে। সব এখনই বলতে চাই না।’
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘মঙ্গলবার রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ আশে পাশের এলাকায় যে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছিল আমরা ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছি।
কোটা সংস্কার নিয়ে বা এর সমর্থনে আজও কোনও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করলে আমরা কিছু বলবো না। তবে নৈরাজ্যকর কোনও ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করা হলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেবো।’
তিনি বলেন, ‘নিহত বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। জানাজা শেষে তার লাশ দাফন করা হয়েছে।’
এদিকে নগরীতে নগরীজুড়ে বিজিবি টহল জোরদার করেছে। অপরদিকে ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ বেরোবি শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে। সমাবেশে বক্তব্য দেন মঞ্চের সমন্বয়ক আমিন বিএসসি। বক্তারা বলেন, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটাবিরোধীদের ওপর পৈশাচিক হামলা করা হয়েছে।