নীলফামারীর দুই উপজেলায় কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার অভিযোগে চারটি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর থানায় একটি ও সৈয়দপুর থানায় তিনটি করা হয়েছে। এসব মামলায় বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যা পর্যন্ত ৬২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে সদরে ১৭ জন ও সৈয়দপুরে ৪৫ জন। তবে সৈয়দপুরে সংঘর্ষের সময় দুটি রাইফেল ও একটি রিভলবার ছিনতাই হয়েছিল। রাইফেল দুটি উদ্ধার হলেও রিভলবারটি উদ্ধার করা যায়নি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার জেলা শহরের বাটার মোড়, শহীদ মিনার, চৌরঙ্গীর মোড়, বঙ্গবন্ধু চত্বর, পিটিআই মোড়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছিল পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ ও সাংবাদিকসহ ২৫ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১০ জন গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এসব ঘটনায় সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে। এই মামলায় ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।’
সৈয়দপুর থানার (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা (ওসি) শাহ-আলম বলেন, ‘হামলা, সংঘর্ষ ও অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে সৈয়দপুর থানায় তিনটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ৪৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও যারা ঘটনায় জড়িত তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।’
জেলা পুলিশ সুপার মো. মোকবুল হোসেন বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়াসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুলিশ বাদী হয়ে চারটি মামলা করেছে। এসব মামলায় এজাহারনামীয় ছাড়াও অনেককে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। গত কয়েকদিনে ৬২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হামলার সময়ে দুই উপজেলায় প্রায় ২৫-২৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’