রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহকে জাতীয় পার্টির নেতা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার ঘটনায় সোমবার (১৪ অক্টোবর) মধ্যরাতে নগরীতে বিক্ষোভ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থকরা।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার বিকালে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেরোবির শিক্ষার্থীরা। তারা জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার দেওয়া ঘোষণা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। অন্যথায় রংপুরে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন শিক্ষার্থী রহমত আলী, আশিকুর রহমানসহ অন্যরা।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, সোমবার রাতে রংপুর জেলা জাতীয় পার্টি অফিসে এক সভার নামে দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের উপস্থিতিতে রংপুর সিটির সাবেক মেয়র ও দলের কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা সারজিস ও হাসনাতকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে তাদের রংপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানাচ্ছি। সাবেক মেয়র মোস্তফাকে তার বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
উল্লেখ্য, সোমবার রাতে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডের জাপা জেলা ও মহানগর কমিটির সভায় দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সামনে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা সারজিস ও হাসনাতকে টোকাই উল্লেখ করে তাদেরকে রংপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। জাতীয় পার্টি ছাড়া রংপুরে কোনও রাজনৈতিক সংলাপ ও হাসনাত-সারজিসের কোনও প্রোগ্রাম করতে দেওয়া হবে না বলেও ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, তারা রংপুরে এলেই যেখানে পাওয়া যাবে সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। সেইসঙ্গে ফেসবুকে জাতীয় পার্টি সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করা হলে দলের নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে সমবেত হতে বলেন। সেই সাথে রংপুরে জাতীয় পার্টি কী করতে পারে আর না পারে তাদের দল কতটা শক্তিশালী তা দেখিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এ ঘটনার পর গভীর রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা নগরীতে বিক্ষোভ করেছেন। এ ঘটনা নিয়ে নগরীতে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।